
"দুগ্ধের অপার শক্তিতে, মেতে উঠি একসাথে" এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ও জেল প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আয়োজনে র্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কারের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জে পালিত হলো বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৫।
রবিবার (১ জুন) সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মান্নান মিয়া'র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহম্মদ মুশিউর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) আব্দুল ওয়ারেস আনসারী।
প্রধান অতিথি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা তার বলেন, দুধ উৎপাদনে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে।
বহিঃর্বিশ্বের কাছে নির্ভর করে থাকলে হবে না। আমাদেরকে আরো খামারি বাড়াতে হবে। প্রতি গরু থেকে বিদেশিদের মতন দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। ওরা যদি পারে গরু থেকে ৪০ কেজি দুধ উৎপাদন করতে পারে আমরা কেন পারব না?আমাদেরও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করতে হবে উন্নত প্রজাতির গরু পালন করতে হবে। দুধের কোন বিকল্প নাই দুধ হচ্ছে মহাশক্তি।
প্রতিবছর বিদেশ থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার দুধ জাতীয় খাদ্য আমদানি করতে হয়। এটা আস্তে আস্তে কমিয়ে আনতে হবে আমাদের নিজেদের দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। আমাদের দেশের খাদ্যের চাহিদা আমাদের মেটাতে হবে। আমরা পর নির্ভরশীল হয়ে আর কতদিন থাকবো? তাই নিজেদেরই নির্ভরশীল হতে হবে নিজর দেশের উপর।
তাই আপনাদের সবার কাছে আমার অনুরোধ ডেইরি ফার্ম নির্মাণে ও গবাদি পশু পালনে উৎসাহ প্রদান করতে হবে। এক সময় প্রতি বাড়িতেই গরু পালতো সবাই কিন্তু এখন এটা আস্তে আস্তে উঠে যাচ্ছে। আমাদের প্রতিদিনের চাহিদাতে দুধ অত্যাবশক এবং খুবই প্রয়োজনীয় খাবার। এটা খেলে শরীর বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি মেধা বুদ্ধি জ্ঞান সমস্ত কিছু বৃদ্ধি পায়। তাই আমাদের সবাইকে দুধ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইউনুস আলী'র সঞ্চালনায় প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন আড়াইহার উপজেলার ভ্যাটেরিনারি সার্জন ডা. আল মাহমুদ হাসান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ (কৃত্রিম প্রজনন) উপপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, আড়াইহাজার উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সজল কুমার দাস, বন্দর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সরকার আশরাফুল ইসলাম ও সোনারগাঁ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুইফা বেগমসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার খামারীগণ।