
বন্দরে চোর আখ্যা দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রাহিম (২৩) নামে এক যুবককে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে নৃশংস হত্যা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের দক্ষিন বারপাড়াস্থ ইকবালের বাড়িতে নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ঘটে। নিহত রাহিম ওরফে রাইস (২৩) বন্দর উপজেলার বারপাড়া এলাকার শাহাবুদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া হাবিবুর রহমানের ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, চোর আখ্যা দিয়ে প্রতিবেশী ইকবাল মিয়ার নেতৃত্বে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ধামাচাপার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
নিহত রাহিমের মা রাশিদা বেগম, জানান, রাহিমকে প্রতিবেশী মৃত-রহিমউদ্দিন প্রধানের ছেলে ইকবাল মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত দেড় টার দিকে ছেলের ডাক চিৎকার শুনে ঘুম থেকে ওঠে দৌড়ে ইকবালের বাড়িতে গিয়ে দেখি ছেলের শরীরের কাটা স্থানে মরিচের গুড়া ও লবন লাগানো হচ্ছে। এঅবস্থা আমার চোখের সামনে ইকবাল, রমজান, আমজাদ, মাসুদ, বাধন, সালাউদ্দিন ও শিল্পি সহ ১০/১২ জন মিলে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথা থেঁতলে দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রাহিম। এ হত্যাকান্ডের বিচার প্রার্থনা করছি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, নিহত রাহিম ইট বালু বহনকারী পিকআপ চালক। ইকবালের বড় ভাই বাহরাইন প্রবাসী বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী হাবিব আক্তারের সঙ্গে রাহিমের পরকীয়া এ সন্দেহে তাকে চোর আখ্যা দিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে ইকবাল ও তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী হাবিবাও স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ভাবে ওই বাড়িতে চুরির ঘটনার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত সম্ভব্য সকলেই পালিয়ে গেছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।