কুতুবপুরে কিশোর গ্যাং লিডার লিমন-ইমরান বাহিনী সদস্যদের কাছে কুতুবপুরের মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, ছিনতাই এবং মাদক ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
ভুক্তভোগীরা জানায়, লিমন-ইমরান নিজের কখনো ছাত্রলীগ, কখনো যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরেছে। ইতোমধ্যে কয়েকশ উঠতি বয়সের যুবকদের নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
লিমন-ইমরান অয়ন ওসমানের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরেছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সম্প্রতি মাদকসহ লিমন-ইমরান বাহিনীর সদস্য রকি, শুক্কুর, মিসাইল, টাইগার, নাঈম মাদকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
এই বাহিনীর সদস্যদের কাছে কুতুবপুরের শাহী বাজার, বৌবাজার,রসুলপুর, আমতলা,পাগলা রেললাইন, নুর বাগেরমকয়েক হাজার মানুষ জিম্মী হয়ে পরেছে।
এই বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সাংসদ শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী মহল।
স্থানীয়রা জানায়, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ইমরানের বিরুদ্ধে আফজাল নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয়রা আফজালকে গুরুতর আহতবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় লিমন, ইমরান, ইমরান ওরফে কালু ইমরান, ইকবাল ও তানভীরের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের হলে জামিন নিয়ে নতুন করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করে।
এই বাহিনী প্রায় সময়ই কুতুবপুর বৌবাজার, শাহী বাজার,রসুলপুর, আমতলা এলাকায় কিশোর অপরাধীদের নিয়ে স্বশস্ত্র মহড়া দিয়ে থাকে।
এসব এলাকার অপরাধের জগৎ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতেই তাদের এমন মহড়া নিয়মিত রুটিনে পরিনত হয়েছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী মহলের।
এলাকাবাসী জানায়, লিমন, ইমরান, নাঈম বিশাল বাহিনী নিয়ে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে কয়েকশ কিশোর অপরাধী। এসব সন্ত্রাসীদের কাছে সবাই জিম্মি হয়ে পরেছে। উঠতি সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এমনকি থানায় অভিযোগ হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। ফলে অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েও মুখ বুঝে সহ্য করে আসছে।
এলাকার অপর একটি সূত্র জানায়, শুধু অয়ন ওসমানের নাম ব্যবহার করে এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই বাহিনী।
উল্লেখ্য, লিমন, ইমরান তাদের বাহিনী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বটতলা বৌবাজার এলাকায় আবুল হোসেনের মালিকানাধীন দোকান দখলে করেছিলেন। পরবর্তীতে চাপে পরে দখলকৃত দোকান ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।