নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিল উচ্চ বিদ্যালয়ের জসিম আলম মেহেদী নামে এক শিক্ষকের উপর হামলা ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে বিদ্যালয়ের সমনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে শিক্ষকরা জানান, গত বুধবার সকাল ৯টার দিকে স্কুলের বাইরে একটি রুমে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর কয়েকটি বাচ্চা ওই রুমে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় গণিত শিক্ষক জসিম আল মেহেদী বাচ্চাদের ডেকে ইট-পাটকেট মারার কারণ জানতে চাইলে প্রাপ্ত বয়স্ক ৭-৮ লোক এসে তাকে এলো পাথারিভাবে কিল ঘুষি মেরে আহত করে। ওই সময় স্কুলের পাশের এক দোকানদার ও আশেপাশের কয়েকজন শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযুক্তরা হলো-সেলিম পিতা আব্দুর রব, নেওয়াজ, শাহাদাত, আখতার হোসেন ও সেলিম সর্বপিতা মৃত মহব্বত আলী (মোবা)। সবাই গোদনাইল রসুলবাগ এলাকার বাসিন্দা। তারা সকলে গোদনাইল রসুলবাগ এলাকার বাসিন্দা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র দাস তার বক্তব্যে বলেন, বাচ্চারা ঢিল মেরেছে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে গেলে কয়েকজন মিলে সন্ত্রাসী কায়দায় স্কুলের গনিত বিভাগের শিক্ষককে পেটালো। একজন শিক্ষক এভাবে মারধরের শিকার হলেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনায় আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন বলেন, আমরা ব্যথিত, দুঃখিত যদি আমাদের স্কুলেই এই অবস্থা হয় তাহলে অন্য স্কুলে কি অবস্থা হবে। আমি আবারও অনুরোধ করছি আমাদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত এই বিষয়টাকে গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। তিনি আরও বলেন, আজকের এই প্রচন্ড গরমে যেখানে আমাদের ঘরে থাকার কথা। মৃত্যুর ভয় না করে শিক্ষকরা এখানে এসেছেন। আপনারা যার যার বাসায় চলে যান। এমপি মহোদয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। আপনারা এখানে দাড়িয়ে আর আমাদের লজ্জা দিবেন না। ইনশাল্লাহ আমি কথা দিলাম, মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে আলাপ করে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের ব্যবস্থা করবো।
