ফতুল্লায় পাওনা টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে মাসুদ (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত মাসুদ পাগলা নয়ামটি পশ্চিম পাড়ার রুহুল মিয়ার ভাড়াটিয়া মোঃ রফিকুল ইসলামের পুত্র।
এ ঘটনায় পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সোহেল (২০) ও তার পিতা আইয়ুব আলী (৫৫) কে আটক করেছে। এসময় গ্রেপ্তারকৃত সোহেলের নিকট থেকে একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে ফতুল্লার পাগলার নয়ামাটি মুসলিম পাড়া লাবনি জুস কারখানার সামনের রাস্তায়।
জানা যায়,টাকা-পয়সা লেনদেন কে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মাসুদের ছোট ভাই শাওনের সাথে সোহেলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাওন ও সোহেল গ্রুপের মাঝে মারামারি শুরু হয়। এ সময় মাসুদ ছোট ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে সোহেল ও তার সহোযোগিদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয় মাসুদ। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাসুদকে মৃত ঘোষনা করে। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইচ গিয়ারসহ সোহেলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র মতে, নিহত মাসুদের ছোট ভাই শাওন ও ঘাতক সোহেল দ ‘জন বন্ধু ছিলো । গত দেড় মাস পূর্বে নিহত মাসুদের ছোট ভাই শাওন ঘাতক সোহেলের নিকট থেকে তিন হাজার টাকা ধার নেয়। সেই টাকা চাইতে গেলে ঈদের আগের রাতে সোহেলকে চড়-থাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দেয় মাসুদ।
এ ঘটনার জের ধরেই শনিবার দুপুরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সোহেল ও তার সহোযোগিরা এ হত্যাকান্ডের জন্ম দেয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান,টাকা-পয়সা লেনদেন কে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে সোহেল ও তার সহোযোগিরা কুপিয়ে মাসুদ কে হত্যা করে।এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে এবং একটি সুইচ গিয়ার উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।