
রূপগঞ্জ উপজেলার আধুরিয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার ৩ ছাত্রকে বলাৎকারে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি ও মাদ্রাসা সুপারেন্টেট এর পদত্যাগের দাবীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মাদ্রাসা ছাত্র ও এলাকাবাসী।
এসময় বিক্ষোীকারীরা সড়কে গাছের গুড়ি, বাশ ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে সড়কের উভয় দিকে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে দূরপাল্লার বিভিন্ন যানবাহন চালক ও যাত্রী সাধারন। রোববার বেলা ১১ টার দিকে আধুরিয়া এলাকায় ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী এ বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, গত শনিবার সকালে আধুরিয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার দশ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে একটি কক্ষে নিয়ে বলাৎকার করেন মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ হোসাইন।
পরে বিষয়টি শিশু তার পরিবারকে জানালে সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় এলাকাবাসী মাদ্রাসায় প্রবেশ করে শিক্ষক হোসাইনকে আটক করে। এ সময় মাদ্রাসার সুপারেনটেনডেন্ট সাইফুল ইসলাম সিরাজীকে বিষয়টির সঠিক বিচার করার দাবী জানালে তিনি ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলে লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠে।
একপর্যায় উত্তেজিত লোকজন অভিযুক্ত শিক্ষক হোসাইনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পালিয়ে যায় মাদ্রাসা সুপারেন্টেট সাইফুল ইসলাম সিরাজী।
বক্তারা আরো বলেন, গত দুই মাসে মাদ্রাসা আরো দুই শিক্ষার্থী বলাৎকারের স্বীকার হয় অভিযুক্ত ঐ শিক্ষকের মাধ্যমে। কিন্তু মাদ্রাসা সুপারেন্টেটের কাছে বিচার দাবী করে সঠিক কোন বিচার তারা পাননি।
পরে খবর পেয়ে দুপুর ২ টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার তরিকুল আলম, রূপগঞ্জ থানা পুলিশ এসে ঘটনার সঠিক বিচার ও অভিযুক্ত মাদ্রাসার সুপারেন্টেট এর ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবেন এমন আশ্বাস দিলে সড়ক থেকে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী সড়ক থেকে সরে দাড়ায়। সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোখলেসুর রহমান বলেন, উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের আধুরিয়া ইসলামিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী বলাৎকারের অভিযোগে মো: হোসেন নামে এক শিক্ষককে অবরুদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানায় নেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুপ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।