
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা যাবে না, হাইকোর্ট থেকে অধ্যাদেশ জারি করে রায় দেওয়া হয়েছিলো। বর্তমানে যাদের বয়স আঠারো থেকে বিশ বছর তারা দেশের স্বাধীনতায় জিয়াউর রহমানের অবদানের বিষয়ে জানেই না।
পাঠ্যপুস্তক থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। সেদিনের হাইকোর্টের সেই রায় আমরা কিন্তু মেনে নেই নাই। আমরা আমাদের পোস্টার ও ব্যানারে এবং বক্তব্যে বলেই গেছি মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না।
শনিবার (৩১ মে) সকালে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের ৪নং ওয়ার্ডের আটি এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, গত পনেরো বছর একটি ফ্যাসিবাদি রাষ্ট্র ব্যবস্থার যাতাকলে মানুষ পিষ্ট হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারে নাই। নিরাপদে থাকতে পারে নাই। জেল খানায় দিন কাটাতে হয়েছে। মামলা হামলার শিকার হতে হয়েছে। তারপরেও আমরা এই দিনটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেছি সবসময়।
বক্তব্যে মামুন মাহমুদ আরো বলেন, জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধা জানানোর অনেক কারণ রয়েছে। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয় নাই। উনি যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে স্বশরীরে যুদ্ধও করেছেন। এজন্য উনি বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন। জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম যুক্ত করায় তাকে মৌলবাদী আখ্যা দেয়া হয়েছিলো।
এছাড়াও তিনি আর্ন্তজাতিক যুদ্ধ বন্ধের ক্ষেত্রেও (ইরাক-ইরান) কার্যকর ভুমিকা রেখেছিলেন। এভাবে তিনি বিশে^ তার নেতৃত্বের দক্ষতার প্রমাণ রেখেছিলেন। আর সেই কারণেই মাত্র তিন বছরের মধ্যেই একটি তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশে পরিনত করেছিলেন।
আর এই কারণেই দেশি বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা, যারা এদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলো তারা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। মৃত্যুর পরও তার রেখে যাওয়া দল বিএনপির মাধ্যমে মানুষ তাকে আজও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো: কবির হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, নাসিক ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্যামল, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সম্পাদক সম্রাট আকবর, যুবদল নেতা ইব্রাহিম, ছাত্রদল নেতা মৃদুল, নাসিক ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নুর হোসেন, হাজী শহিদুল্লাহ, হাজী মনির, হাজী পিয়ার আলী, শামীম আল মামুন, মো: ইকবাল, তোফাজ্জল হোসেন, আ: মান্নান, আনোয়ার হোসেন, মহিউদ্দিন ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন এবং মনির হোসেনসহ প্রমূখ।