
নির্বাচনী প্রচারনার শেষ দিনে আইনজীবীদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করেছেন ল’ইয়ার্স কাউন্সিল মনোনীত (সবুজ প্যানেল) হাফিজ মোল্লাহ-মাইনউদ্দিন প্যানেলের প্রার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে বার ভবনের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি আদালত পাড়া ও আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে পূণরায় বার ভবনের সামনে এসে শেষ করে।
এ সময় সভাপতি প্রার্থী এড. হাফিজ মোল্লাহ বলেন, নির্বাচনী প্রচারনার শুরু থেকে কখনোই আমরা আচরণবিধি লংঘিত হয় এমন কোন কাজ করিনি। আমরা যে পেশায় আছি, আমাদের আচরণ, স্লোগান হবে অন্যের জন্য অনুকরণীয়।
পিপি ও জিপি যারা রয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের প্রাইভেট মামলা কম থাকে বা করতে পারেন না। আপনাদের যে সম্মানী সেটা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনে সরকারের কাছে আবেদন করবো। যেহেতু আপনারা রাষ্ট্রীয় কাজে নিযুক্ত তাই যে প্যানেল আইনজীবীদের জন্য কাজ করবে আপনারা তাদেরকে ভোট দিবেন।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এড. মাঈন উদ্দিন মিয়া বলেন, বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্ষমতায় থেকে একের পর এক ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমরা চাই নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত শৃঙ্খলা রক্ষা করতে। তারা বারের অফিসকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করছেন। বারের লাইব্রেরীতে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে মিটিং করে সাধারণ আইনজীবীদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।
নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও সুন্দর রাখতে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের কাছে দরখাস্ত দিয়েছি। আজকে আমরা পুলিশ সুপার বরাবর আরো একটি দরখাস্ত দিবো, যাতে করে ভোটাররা নির্বিঘ্নে চলাচল ও ভোট প্রদান করতে পারে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সবুজ প্যানেলের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী এড. জাহাঙ্গীর দেওয়ান, সহ-সভাপতি এড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এড. আল-আমিন, কোষাধ্যক্ষ এড. ইস্রাফিল, আপ্যায়ন সম্পাদক এড. নিজাম উদ্দিন, লাইব্রেরি সম্পাদক এড. গোলাম সারোয়ার, ক্রীড়া সম্পাদক এড. ইমরান হোসেন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এড. মজিবুর রহমান, সমাজ সেবা সম্পাদক এড. নূর-ই-আলম, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক এড. মাসুদুর রহমান, কার্যকরী সদস্য এড. গোলাম মোস্তফা, এড. আফরোজা জাহান, এড. রাকিবুল হাসান, এড. তাওফিকুল ইসলাম, এড. সাইফুল ইসলাম সহ প্রমুখ।