বন্দরে চায়না কোম্পানীর চোরাইকৃত ব্যাটারী বিক্রি উদ্দেশ্যে অটোরিক্সা করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ২ চোরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।
ওই সময় পুলিশ আটককৃতদের কাছ থেকে ১৪৯ টি পুরাতন ভাঙ্গা নষ্ট ব্যাটারি যাহার মূল্য ৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ও ২টি পুরাতন লাল ও নীল -রংয়ের চার ব্যাটারি যুক্ত অটো রিক্সা যাহার মূল্য অনুমান ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
আটককৃতরা হলো সুদূর সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার ধুকরিয়া বেড়া এলাকার মৃত হাবুল শেখের ছেলে রানা (২৮) ও বগুড়া জেলার ধনুট থানার মোষাইবাড়ী চুনিয়াপাড়া এলাকার আফাজ মিয়ার ছেলে সুমন (২১)।
তারা দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর রেললাইন টিনের মসজিদ এলাকায় বসবাস করে আসছিল। এ ব্যাপারে ডংজিন লংগারভিটি ইন্ডঃ লিঃ এর ম্যানেজার আবজাল হোসেন বাদী হয়ে আটককৃত ২ চোরসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৬(১২)২৫। পুলিশ আটককৃতদের সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরন করে।
এর আগে গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বন্দর থানার দাসেরগাঁওস্থ সালাউদ্দিনের বাড়ীর সামনে থেকে এলাকাবাসী সহযোগিতায় উল্লেখিত চোরাইকৃত মালামালসহ এদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।
মামলার বাদী সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত ও পলাতক চোরের দল বিভিন্ন তারিখে রাতের বেলায় সঙ্গপোনে বন্দরে ডংজিন লংগারভিটি ইন্ডঃ লিঃ ফ্যাক্টরী হইতে আনুমানিক ৪০ লাখ টাকার পুরাতন নষ্ট ব্যাটারি চুরি করিয়া নিয়ে যায়।
পরে গত রোববার দুপুর পৌনে ২টার সময় স্থানীয় লোকের ম্যাধমে ফ্যাক্টরীর জমির মালিক জাকির হোসেন ওরফে সাজু সংবাদ পান যে, বন্দর থানাধীন দাসেরগাঁও সালাউদ্দিনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মৃত নুরুল হক মিয়ার ছেলে চোর হরমুজ আলী ও একই বাড়ী ভাড়াটিয়া মৃত হরমুজ আলী ছেলে রোকনদ্বয়ের বসত ঘরে থাকা উল্লেখিত ফ্যাক্টরীর চুরি যাওয়া ব্যাটারি আটককৃত চোর রানা ও সুমনসহ পলাতক চোরসহ অজ্ঞাতনামা চোরের দলের সহায়তায় বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে ঘর হইতে অটো রিক্সা যোগে বন্দর রেল-লাইন যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয় ।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ফ্যাক্টরীর জমির মালিক দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার রাজু আহম্মেদ ও কাজল এবং ফরহাদ ওই দিন দুপুর পৌনে ২টায় বন্দর থানার দাসেরগাঁও সালাউদ্দিনের বাড়ীর নিচ তলার ভাড়াটিয়া পলাতক চোর হরমুজ আলী ও রোকনের বাসার সামনে রাস্তার উপর উপস্থিত হয়ে চোরদের আটক করার চেষ্টা করিলে ওই সময় হরমুজ আলী ও রোকনের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে কাজল এর ডান হাতের কব্জিতে এবং ড্রাইভার ফরহাদের ঘাড়ে আঘাত করিয়া পালিয়ে যায়।
পরে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় চোর রানা ও সুমনকে আটকসহ চোরাইকৃত মালামাল বহনকারী দুইটি রিক্সায় থাকা ৩৪টি ব্যাটারি উদ্ধার করে। আটককৃতদের দেখানো মতে পলাতক চোর হরমুজ আলী ও রোকনের াড়াটিয়া ঘর হইতে বাকি ১১৫ টি ব্যাটারি উদ্ধার করে।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হইয়া আটক আসামিদ্বয়সহ উক্ত মালামাল জব্দ করেন।


































