নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

৩০ এপ্রিল ২০২৪

সোনারগাঁ ভাটিবন্দর বালুরমাঠের কাশবন ফুলে ফুলে সাদা 

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৪:০৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

সোনারগাঁ ভাটিবন্দর বালুরমাঠের কাশবন ফুলে ফুলে সাদা 

জলজ চাদরে ঢেউ জাগে কি জাগে না। এ যেন কিশোরীর হাতের আয়না। এ আয়নায় উপুড় হয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আকাশ। সেখানে ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘ। মেঘনার তীরে, ভাটিবন্দর বালুর মাঠে তখন হেমন্তের হিমেল হাওয়া। সেই হাওয়ার দোলা ছুঁয়ে যায়  বুক সাদা করে ফুটে থাকা কাশবনে। শরত পেরিয়ে হেমন্ত এলেও এখনও ছড়িয়ে রয়েছে শারদীয় স্নিগ্ধতা।


দূর থেকে তাকালে মনে হবে এ যেন শুভ্র আকাশ এসে মাটিতে আঁচড়ে পড়েছে। দূর থেকে দেখে বুঝার জো নেই আকাশ আর মাটির পার্থক্য। চারদিকে কাশফুল বাতাসে দোল খাচ্ছে, কিশোর ছেলেরা ফুটবল খেলায় মত্ত, বাতাসে ফুলের পাপড়ি উড়ে চোঁখে মুখে আঁচড়ে পড়া মতো এমনই মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের দেখা মিলবে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলা পিরোজপুর ইউনিয়নে।

 

মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে সবুজের সমারোহে সমৃদ্ধ সোনারগাঁ উপজেলার  পিরোজপুর ইউনিয়ন এ ভাটিবন্দর। মেঘনা নদীর তীরে চিকচিক করা বালির উপর কাশফুলের এ বিশাল ছড়াছড়ি যেন সোনারগাঁ উপজেলার মানুষের জন্য বিনোদন কেন্দ্র হয়ে রয়েছে।


নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলায় পিরোজপুর ইউনিয়নে মেঘনার পাড় ভাটিবন্দর এলাকায় চোখে পড়বে এমন মায়াবী কাশফুলের দৃশ্য। রাস্তার দুপাশ জুড়ে যতদূর চোখ যায় শুধু শুভ্র কাশফুল। কাশফুল আর আকাশের মিতালিতে টেনে এনেছে পর্যটকদের। এখানে রয়ছে দুইটি বাশের তৈরী টাওয়ার।শুধু স্থানীয়রাই নয় পার্শ্ববর্তি জেলা মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, ঢাকা থেকেও পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন কাশফুল দেখতে। রাস্তার দুপাশে প্রায় ৬শ বিঘা জমির পুরোটাই শুভ্র কাশফুলে আবৃত।

 

বিকেল হলেই প্রিয় মানুষকে নিয়ে, পরিবারকে নিয়ে, বন্ধুদের নিয়ে অনেকেই কাশফুলের বিনোদনে মেঠে উঠেন। চিকচিক করা বালির উপর কিশোর ছেলেরা ফুটবল খেলায় মেঠে উঠে। দেখে বুঝার জো নেই ছোট এই মেঘনা উপজেলায় এ কাশফুলের চিত্র হয়ে উঠেছে অন্য আরেক দিয়াবাড়ি।


সোনারগাঁ উপজেলার বিনোদন প্রিয় মানুষদের জন্য পিরোজপুর ইউনিয়নের এ কাশফুলের স্থান হয়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্র। তবে এই উপজেলার মানুষদের মধ্যে বিনোদনের আমোদে-প্রমোদের চেয়ে কিছু দিন পর কাশফুলের এ মেলাকে হারানোর বিয়োগ ব্যাথাই যেন আঁচড়ে পড়ে।

 

কারণ দু’পাশের পুরো ৪শ বিঘা জমির মালিকানা রয়েছে ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠান নুরানী কোম্পানি প্রাইভেট লি. এর। বিনোদন কেন্দ্র নয় বরং কারখানা ও ব্যবসায়ীক কেন্দ্র তৈরির জন্যই পুরোটা জায়গা কিনে নিয়েছে নুরানী কোম্পানি লি।
 

সম্পর্কিত বিষয়: