
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মেধাবী ছাত্র নাঈমুর রহমান প্রান্ত (২৪)। সে আমেরিকান ইউনিভার্সিটির বিবিএর শেষ বর্ষের ছাত্র। বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিলো পড়ালেখা শেষ করে অনেক বড় হবে । কিন্তু সেই স্বপ্ন মুহূর্তেই ধূলিস্যাৎ হয়ে গেল।
বন্ধুদের সাথে ভারতে ঘুরতে গিয়ে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ভোর রাতে গোয়ায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে নাঈমুর রহমান প্রান্ত। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩ জন।
তারা হলো- ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের পুত্র তাইহান তাবাচ্ছির সোয়াদ (২৫) ও ফতুল্লা থানা গেইট সংলগ্ন আমীর আলী সুপার মার্কেটের মালিক মৃত জহিরুল আলমের প্ত্রু আলী আকরাম আকিব (২৬) ও তার ছোট ভাই আলী আরমান আদিব (২২)।
আহতরা গোয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতদের মধ্যে আদিবের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা যায়।
নিহত নাঈমুর রহমান প্রান্ত ফতুল্লার লালপুরের কামাল হোসেনের পুত্র। এদিকে নাঈমুর রহমান প্রান্তের মৃত্যুর সংবাদে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। স্তব্দ হয়ে পড়েন পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাংখীগণ।
আহত তাইহান তাবাচ্ছির সোয়াদের বাবা ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন জানান প্রান্তের সাথে তার স্বজনদের রাত আড়াইটা দিকে সর্বশেষ ফোনে কথা হয়েছিলো।
প্রান্ত নিজেই গাড়ী চালাচ্ছিলো বলে জানা যায়। রাত সাড়ে তিনটার দিকে তারা দুর্ঘটনার শিকার হন। পরে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সোয়াদ মোবাইল ফোনে দূর্ঘটনা ও প্রান্তের মৃত্যুর সংবাদটি জানায়।
নিহত নাঈমুর রহমান প্রান্তের চাচা আক্তার হোসেন জানান, তার ভাতিজা বন্ধুদের সাথে রোববার সকাল ১০ টার ফ্ল্যাইটে ভারতের বোম্বে যায়। সেখান থেকে গোয়া যায়। সেখানে প্রাইভেট কার দূর্ঘটনায় প্রান্ত মারা যায়।