
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২৫'র সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহম্মদ মুশিউর রহমান'র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
অনুষ্ঠানে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. তাজুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা তার বক্তব্যে বলেন, আমরা পুষ্টি নিয়ে যতই গবেষণা করি, সেমিনার করি, আইন প্রয়োগ করি তাতে কোন কাজে আসবে না, ভালো ফলাফল পাবো না। আমরা যদি নিজেরা সচেতন ও পরিবর্তন না হই। যদি পরিবর্তন না হই তাহলে এর ভালো ফলাফল পাবো না, সমাজ পরিবর্তন হবে না।
জানা যায়, একজন রান্নাঘরে রান্না করতে গেলে তিনি লাল চিনি ব্যবহার করতে গিয়ে দেখেন চিনিতে লাল রং মেশানো । ফলে হাতে রং লেগে যাচ্ছে। এর মানে সাদা চিনি কে লাল রং দিয় লাল করা হয়েছে। এই রকম মন মানসিকতা থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে। সঠিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার আমাদের বাজারজাত করতে হবে এবং সবাইকে সেই খাবার খেতে হবে।
কিন্তু আমরা সেই খাবার কোথায় পাব? সব খাদ্য ভেজালে সয়লাভ । তাই আমাদেরকে সবার পরিবর্তন হতে হবে। ভালো মানুষ হতে হবে। এই ধরনের খারাপ চিন্তা ভাবনা দূর করতে হবে। আমরা আরো জানতে পেরেছি যে, চামড়ার ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে পোলট্রি মুরগি ও মাছের হ্যাচারিতে খাবার তৈরি করা হয় ।
আবার মুরগির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে মাছের খাবার তৈরি করা হয়। অনেক মুরগির ফার্ম আছে যার নিচে মাছের চাষ করে থাকেন। এ সব খাদ্যের কারনে আমরা এখন আর সেই মাছ ও ব্রয়লার মুরগি খেতে স্বাদ পাই না ও ঘ্রাণ পাইনা। শাকসবজিতেও বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়। আর ফলের ব্যাপারটা কি বলবো এটা আপনারা সবাই জানেন বাজারের ফলে কি পরিমাণ ফরমালিন মেশানো হয়ে থাকে।
তা আমরা পুষ্টি মনে করে খাচ্ছি। আসলে আমরা মনে হয় বিষ খাচ্ছি। এর কারনে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের দেহে। আপনারা বলেন কিভাবে আমরা সুস্থ থাকবো এই ধরনের খাবার খেয়ে। তাই আমাদের পোস্ট গুন সম্পন্ন খাবার খেতে হবে সবাইকে। সবাইকে সচেতন হতে হবে নিজের জন্য দেশের জন্য।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শহীদুল ইসলাম খান।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক'র সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. একেএম, মেহেদী হাসান ও আদর্শ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আজিজুল ইসলাম।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ইপিআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট লুৎফর রহমান ও এনজিও প্রতিনিধি রাহিমা আক্তার লিজা, মোজাম্মেল হোসেন লিটন আজমান হোসাইন ও সেলিম রেজা প্রমূখ।
অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।