গত বছরের ১লা সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত যুবদল কর্মী শাওন প্রধান হত্যা মামলায় সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বিডিআরের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়াও একই মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও জেলা যুবদল নেতা রাজু আহমেদ রমজানের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
সোমবার (২০ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা। আদালত শুনানি শেষে রফিকুল ইসলাম বিডিআরের জামিন নামঞ্জুর এবং আজহারুল ইসলাম মান্নান ও রাজু আহমেদ রমজানের জামিন মঞ্জুর করেন। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা মামলা নং - ৪(৯)২২।
আসামি পক্ষের আইনজীবী হলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, বিএনপি নেতা এড. সুমন মিয়া।
জানাগেছে, ২০২২সালের ১লা সেপ্টেম্বর বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রাকে পর্যন্ত নগরীর ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় দেড় ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে যুবদল কর্মী শাওনের মৃত্যু ছাড়াও পথচারী-নারীসহ আরও ২৬ জন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
পরে সংঘর্ষে নিহত শাওন প্রধানের বড়ভাই মিলন প্রধান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় বিএনপির অজ্ঞাত ৫০০০ নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়েছে।
পরেরদিন পুলিশকে হত্যার উদ্দেশে হামলা, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাদান ও ভাংচুর এবং বিস্ফোরকের অভিযোগ এনে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো চার থেকে পাঁচ হাজার জনকে আসামী করে সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এই মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদেরকে ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সংঘর্ষ চলাকালীন সময় আটক করা হয়েছিলো।
