
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণহত্যা মামলার আসামি সালাউদ্দীনের পক্ষে আদালতে আইনজীবী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পিপি এডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা।
একজন সরকারি কৌশলী হয়েও গণহত্যা মামলার আসামির পক্ষে আইনজীবী হিসেবে দাঁড়ানোয় এডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লার বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর এলাকার সালাউদ্দিন একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং একাধিক মামলার আসামি। সে ছিলো খুনি আজমেরী ওসমানের বিশ্বস্ত সহযোগী। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সে আজমেরী ওসমানের বাহিনীর সাথে ছাত্র জনতার উপর হামলা চালায়।
যে কারণে তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণহত্যার মামলা হয়। সে মামলায় সালাউদ্দিন এজাহার ভুক্ত আসামি হিসেবে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় এবং কিছুদিন আগে জামিনে বের হয়।
জামিনে বের হয়ে সালাউদ্দিন আবারো সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখে এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মিলন বিশ্বাস হৃদয় ও ফটো সাংবাদিক হাবিব খন্দকারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ফতুল্লা থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয় সালাউদ্দিনকে। সেই সালাউদ্দিনকে বাঁচাতে তার পক্ষে আদালতে আইনজীবী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আদালতের নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনালের পিপি অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা।
অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লার কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আইনজীবী এবং সাংবাদিক মহল। একজন সরকারি কৌশলী হয়েও খুনি সন্ত্রাসী এবং গণহত্যা মামলার আসামির পক্ষে কি করে তিনি দাঁড়ালেন সেই প্রশ্ন এখন সকলের মুখে মুখে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আইনজীবী বলেন, অ্যাডভোকেট খোরশেদ মোল্লা বিএনপিপন্থী আইনজীবী এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা হচ্ছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা মামলার আসামিদের পক্ষে কোনো বিএনপির আইনজীবী দাঁড়াতে পারবে না ।
এই নির্দেশনা অমান্য করে খোরশেদ আলম মোল্লা অপরাধ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা বলেন, আমি জানতাম না সে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা মামলার আসামি। আমি বিষয়টি জানার পর তার মামলাটি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।