নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

১৯ মে ২০২৪

ফ্ল্যাট বাসায় ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন 

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৭:৩৬, ৭ মে ২০২৪

ফ্ল্যাট বাসায় ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন 

নারায়ণগঞ্জের শহরের উত্তর চাষাড়ায় ফ্ল্যাট বাসায় কৌশলে প্রবেশ করে গৃহকর্তা আবুল কাসেম (৮৩) নামের এক বৃদ্ধ ও আকলিমা (৫৫) নামে এক গৃহকর্মীকে অবরুদ্ধ রেখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানার উত্তর রাজার গায়ের মৃত শহিদুল্লাহর পুত্র জসিম উদ্দিন (৪৫) ও একই জেলার মতলব থানার নওগায়ের মৃত আলী আকবরের পুত্র মোঃ আক্তার হোসেন প্রধান (৫৫)। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে তাদেন আদালতে পাঠায় পুলিশ।

এরআগে সোমবার  বিকেলে রাশেদুল হক এর ৫ম তলা বিল্ডিং এর ৪র্থ তলায় থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে এ সময় তাদের কাছ থেকে দুই লাখ উদ্ধার করা গেলেও তাদের অপর সহযোগী আব্দুল কাদের ওরফে আনিছ (৫৫) পনের লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। 

জানা গেছে, মামলার বাদী ভুক্তভোগী আবুল কাসেমের পরিবারের সদস্যরা সকলেই আমেরিকা প্রবাসী। তিনি একাই ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করতো। বিগত ছয় বছর হতে আকলিমা তার বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ কাজ করে আসছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গ্রেপ্তারকৃতরা আবুল কাশেমের বাসার দরজা খোলা পেয়ে কৌশলে ফ্ল্যাটের ভিতর  প্রবেশ করে বাদী ও গৃহপরিচারিকা আকলিমা বেগকে জিম্মি করে ও নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা  দিতে বলে।

এক পর্যায়ে তারা আবুল কাশেমের বিছানার নিচে থাকা নগদ ২ লাখ টাকা তারা নিজেরাই নিয়ে নেয়। পরে তারা ঘরে থাকার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের একটি চেকে জোর পূর্বক ১৫ লাখ টাকা লিখে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করা।

স্বাক্ষর শেষে আটককৃত জসিম উদ্দিনকে বাসায় পাহাড়ায় রেখে অপর দুইজন আক্তার হোসেন প্রধান ও কাদের ব্যাংকে গিয়ে ১৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে ফের আবুল কাশেসের বাসায় চলে আসে।

বাসায় এসে আসামীরা বাসায় থাকা বাড়ীর দলিল, পাসপোর্ট ও মূল্যবান কাগজপত্র, বাদীর ব্যবহৃত একটি এনড্রয়েড মোবাইল ফোন ও টাকা একটি ব্যাগের ভিতর নিয়ে বিকেল ৫ টার দিকে চলে যাওয়ার সময় গৃহপরিচারিকা আকলিমা বেগম  ডাক চিৎকার করলে  আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গ্রেপ্তারকৃত ওই দুইজনকে ২ লাখ টাকাসহ আটক করলেও ১৫ লাখ টাকা  নিয়ে পালিয়ে যায় কাদের।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম মিয়া রিমান্ড আবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
 

সম্পর্কিত বিষয়: