নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২২:২১, ১৭ মে ২০২৪

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের  প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকাল  চারটায় ২নং রেলগেট সংলগ্ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এই আয়োজন করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নারায়ণগঞ্জের মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন সদর, বন্দর ও সিদ্ধিগঞ্জ থানার প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেয়। নেতাকর্মীদের স্লোগানের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে দলীয় কার্যালয়।

দীর্ঘদিন পরে মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে এত নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ দেখে উপস্থিত সকলে বলেন, সম্মেলন করে কমিটি গঠনের সুফল পাচ্ছে মহানগর আওয়ামী লীগ। যেনো নতুন করে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগে।

সভাপতি বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সেই দিনটির স্মৃতিচারণ করে বলেন, শেখ হাসিনা ছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে, অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করার পরে সেই স্বাধীনতা বিরোধী চক্র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দিতে চেয়েছিল।

কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন এবং বাংলাদেশকে আজ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগকে নিয়েও অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অনেকে বলেন আমাকে নাকি তারা নেতা বানিয়েছেন। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আমাকে নেতা বানিয়েছেন শেখ হাসিনা। ১৯৭২ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে আমার রাজনৈতিক পথচলা শুরু।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর আমার নেতৃত্বেই নারায়ণগঞ্জ প্রথম বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আজ যারা অনেক বড় বড় কথা বলেন তাদের অনেককেই সেদিন খুজে পাওয়া যায়নি।

আমরা সম্মেলনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন ১৭ টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করেছি এবং খুব শীঘ্রই সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করবো। এরপরে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব কারা দেবেন সেটা ঠিক করবেন আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা তার বক্তব্যে বলেন, অনেকে মুখে দলের জন্য ত্যাগ তিতিক্ষার কথা বলেন। আমি বলব এই দলের জন্য এই দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা, তার চেয়ে বেশি ত্যাগ কারো নেই।

সেই নেত্রী আনোয়ার ভাইকে এবং আমাকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্ব দিয়েছেন। নেত্রী না চাইলে আমি ও আনোয়ার ভাই এক সেকেন্ডও দায়িত্বে থাকবো না, নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, আজ নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগে গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে, নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের কারণে আজ এই গণজাগরণ। আমরা ১৭টি ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করেছি, সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ডের কমিটিও সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হবে।

কমিটি গঠনের কোন অনিয়ম বা বাণিজ্য হয়নি কেউ যদি কমিটি বাণিজ্য প্রমাণ করতে পারেন তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো। আমাদের কোনো রাজনৈতিক ওয়ারিশ নেই, মাঠের তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আমাদের ওয়ারিশ।

আমরা আমাদের কোনো ছেলে, ভাই বা আত্মীয়কে কমিটি দেইনি, রাজপথে যারা অবদান রেখেছেন তাদেরকে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছি। বাকি জীবন এই তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাব।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হায়দার আলী পুতুল, মাসুদুর রহমান খসরু, অ্যাডভোকেট দুলাল, রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, কোষাধ্যক্ষ কামাল দেওয়ান, দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার সাহা, সদস্য শিখন সরকার শিপন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়াসহ নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।