ফতুল্লার দাপায় ভাড়াটে সেজে লাচ্ছির সাথে চেতনা নাশক ঔষধ প্রয়োগ করে বাড়ীওয়ালার পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দুই নারীসহ ভাড়াটে রুপি প্রতারক চক্রের তিন সদস্য কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি গ্রামের নুর হাজীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া মৃত আমির মিয়ার পুত্র আনোয়ার (৩৫), দুলালের স্ত্রী কুলসুম (৫০) ও রাসেলের স্ত্রী সীমা (৩০)। তবে উদ্ধার করতে পারেনি চুরি যাওয়া নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার।
এ ঘটনায় বাড়ীর মালিক জামাল মিয়া বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, ৯ অক্টোবর বিকেল ৫ টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত সীমা, কুলসুল ও পলাতক আসামী মুক্তা বেগম বাদীর বাসায় এসে তাদের নীচতলা রুম ভাড়া নেওয়ার জন্য চুড়ান্ত করে। কথা মতো ১০ অক্টোবর বেলা ১১ টার দিকে প্রতারক চক্র বাদীর নীচতলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে আসে।
পরদিন মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে বাদীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সাথে পরিচিত হতে গিয়ে সাথে নিয়ে যায় চেতনা নাশক ঔষধ মেশানো লাচ্ছি শরবত। এক পর্য়ায়ে তারা কৌশলে বাদীর স্ত্রী শিরিন আক্তার (৫০), মেয়ে সুকণ্যা (২৫) ও ১৭ মাস বয়সী নাতি অনাল কে ঐ লাচ্ছির শরবত পান করায়।
এতে করে তারা ধীরে ধীরে অচেতন হয়ে পরলে প্রতারকচক্র ঘরে থাকা নগদ ৯৫ হাজার টাকা ও দুই ভরি দশ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি টের পেয়ে বাদীর অপর নাতি রিফাত (১১) তাকে ফোন করে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় চলে আসার পথে স্থানীয়দের সহায়তায় পালিয়ে যাওয়ার পথে কুলসুম কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক শাহাদাত হোসেন জানায়, মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অপর সকল আসামীদের গ্রেপ্তারসহ চুরি যাওয়া টাকা ও স্বর্নালংকার উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
