নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

সোমবার,

২৯ এপ্রিল ২০২৪

দ্রুততম সময়ে নামজারী দিয়ে জেলায় প্রথম আড়াইহাজার ভূমি অফিস

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৮:০৩, ৩ মার্চ ২০২৪

দ্রুততম সময়ে নামজারী দিয়ে জেলায় প্রথম আড়াইহাজার ভূমি অফিস

আড়াইহাজারে নামজারীতে কমেছে দীর্ঘসূত্রিতা। দ্রুততম সময়ে নামজারী দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রথম হয়েছে আড়াইহাজার উপজেলা  ভূমি অফিস।

জানা গেছে, মাত্র ১৬ দিনে নামজারী হচ্ছে। সন্তুুষ প্রকাশ করেছেন  সেবা গ্রহীতারা। ভূমি সেবার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে আড়াইহাজার উপজেলায়। ১০টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত আড়াইহাজার উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। 

ভূমি মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইডে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারী মাসে গড়ে ১৬ দিনে  নামজারী দিচ্ছে আড়াইহাজার উপজেলা  ভুমি অফিস। এর আগে একটি নামজারী নিষ্পত্তি হতে গড়ে অনেক বেশী সময় লেগে যেত । 

ওয়েব সাইডে দেখা গেছে সোনারগাঁয়ে সময় লাগে ১৮ দিন, ফতুল্লায় সময় লাগে ১৯ দিন, সদরে সময় লাগে ২০ দিন, সিদ্ধিরগঞ্জে সময় লাগে ২০ দিন, বন্দরে ২৪ দিন ও রুপগঞ্জে ৩১ দিন। সেই হিসেবে জেলায় প্রথম    ভূমি অফিস আড়াইহাজার । 

আড়াইহাজারে ভূমি সেবার ক্ষেত্রে এসেছে আমূল পরিবর্তন। ই-নামজারী, মিস মোকদ্দমা, ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানসহ ভূমি বিষয়ক সেবাগুলো দ্রুত এবং হয়রানিমুক্ত পরিবেশে প্রদান করা হচ্ছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন মনিটরিং সেলের ভূমি বিষয়ক সেন্ট্রাল ডাটাবেইজ এর তথ্য অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে আড়াইহাজার উপজেলা সবচেয়ে কম সময়ে  নামজারী দিচ্ছে।

এছাড়া দ্রুত সময়ে মিস মোকদ্দমা নিষ্পত্তি, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, খাস জমি ব্যবস্থাপনা, আশ্রয়ন প্রকল্প সংক্রান্ত কার্যক্রম স্বচ্ছতার সাথে সম্পাদন করা হচ্ছে। 

সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুজ্জাহান কনক বলেন, ভূমিসেবাকে সহজীকরণ এবং জনবান্ধব করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দশনায় উপজেলা ভূমি অফিস, আড়াইহাজার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। 

ডিজিটাল বাংলাদেশে সেবার মান উন্নয়নে ভূমিসেবাকে ডিজিটাইজেশনের বিকল্প নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল ভূমিসেবা থেকে স্মার্ট ভূমিসেবা রূপান্তরে আমরা বদ্ধ পরিকর।

তিনি আরও  বলেন, "ভূমিসেবা ডিজিটাল, বদলে যাচ্ছে দিনকাল" শ্লোগানকে ধারণ করে ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমি সেবাকে ডিজিটাইজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।

সেটিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে ডিজিটাল ভূমি সেবা থেকে স্মার্ট ভূমি সেবায় রূপান্তরের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে।