নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

সোমবার,

২০ মে ২০২৪

পুলিশের নামে দৈনিক ভাতা দাবি সোর্সের

সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক দিয়ে মাদক কারবারিকে ফাঁসানোর অভিযোগ 

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২১:২৪, ৯ মে ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক দিয়ে মাদক কারবারিকে ফাঁসানোর অভিযোগ 

পুলিশের সোর্স সোহেল

সিদ্ধিরগঞ্জে মাদকদ্রব্য গাঁজা দিয়ে মো. হোসেন মনা নামে এক মাদক কারবারিকে ফাঁসানোর অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই আব্দুল খালেক ও পুলিশের সোর্স সোহেলের বিরুদ্ধে।

এ সময় নির্বিঘ্নে মাদক কারবার চালিয়ে যাওয়ার জন্য মাদক কারবারি মনার কাছ থেকে পুলিশে নামে দৈনিক ভাতাও দাবি করে ওই সোর্স। এনিয়ে এলাকায় বেশ আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। 

জানাগেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ পুলস্থ পুরান কাঠপট্টি এলাকায় মাদক কারবারি মো. হোসেন মনাকে সোর্স সোহেলের সহযোগিতায় আটক করে এএসআই আব্দুল খালেক। এসময় তার কাছ থেকে গাঁজা উদ্ধার দেখায় সোর্স। 

পরে সোর্স সোহেলের মধ্যস্থতায় ৫ হাজার টাকা দফারফা করে ছেড়ে দেয়া হয় মনাকে। এ সময় সোর্স সোহেল জানায় এএসআই আব্দুল খালেকেকে দৈনিক ৫০০ টাকা করে দিলে তাকে ব্যবসা করতে দিবে। নয়তো তাকে ব্যবসা করতে দিবে না।

তবে এ বিষয়ে মাদক কারবারি মো. হোসেন মনা বলে উল্টো কথা। সে জানায় তার কাছে কোনো মাদকই পায়নি পুলিশ। সোর্স সোহেল তাকে সুইচ গিয়ার (চাকু) ঠেকিয়ে জিজ্ঞেস করে মাদক কোথায় রাখসি।

পরে সোর্স সোহেল তার নিজের কাছে রাখা গাঁজা দেখিয়ে মাদক মামলা দিয়ে চালান দেয়ার ভয় দেখায়। কিছুক্ষণ পর সে এএসআই আব্দুল খালেকের সামনেই বলে টাকা দিলে ছেড়ে দিবে। এরপর সে ৫ হাজার টাকা দফারফা করার পর ওই টাকা ম্যানেজ করে সোর্স সোহেলের হাতে দেয়।

এদিকে এলাকাবাসী বলছে সোর্স সোহেল এক ভয়ংকর পকৃতির লোক। সে নিজেই মিজমিজি এলাকার চাঁন বাদশার বাড়িতে মাদকের ব্যবসা চালায় এবং মাদকের বড় একজন ডিলার।

হেরোইন গাঁজাসহ সব ধরনের মাদকের কেনা বেচা করে পুলিশের এই কথিত সোর্স। কিন্তু সে পুলিশের ছত্র-ছায়ায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। কিছুদিন আগে সোর্স সোহেলকে ২২ বোতল ফেন্সিডিল সহ গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ।

এলাকাবাসীর দাবি সোহেলের মাদকে এলাকা সয়লাব। ধ্বংসের পথে যুব সমাজ। সে আইন শৃংখলা বাহিনী ও পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে মাদক কারবারিদের তার নিয়ন্ত্রনে রাখতে দাবড়িয়ে বেড়ায়। এছাড়া এলাকায় চুরি ছিনত্ইাসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড তার শেল্টারেই হয়ে থাকে। 

জানতে চাইলে এএসআই আব্দুল খালেক মাদক কারবারিকে আটক ও ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। আমি কোন সোহেলকে চিনি না।