
নারায়ণগঞ্জে সড়ক ও নদী পথে জোরপূর্বক গরুর ট্রাক বা ট্রলারে দুষ্কৃতিকারীরা কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেটির দৃষ্টিগোচর হওয়ায় ইতোমধ্যে র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এ ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আইনশৃঙ্খলা জোরদার করা হয়েছে। হাটগুলোতে চাঁদাবাজি বন্ধে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় র্যাব এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি জাল টাকা সনাক্ত করতে প্রত্যেকটি হাটে র্যাবের পক্ষ থেকে মেশিন দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সিদ্ধিরগঞ্জের ২নং ঢাকেশ্বরী ইব্রাহিম টেক্সটাইল মিলের বালুর মাঠের অস্থায়ী কুরবানীর পশুর হাট পরিদর্শন শেষে র্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এসব কথা বলেন। এসময় হাট ইজারাদার, গরুর ক্রেতা-বিক্রেতাসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে আমাদের দায়িত্বকে তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে।
প্রথমে ঈদের পূর্বে ঈদের দিন একটা স্পেশাল ঈদ জামাতকে কন্দ্রে করে এবং ঈদের পরে বিশেষ করে সব জায়গায় হাটকে কেন্দ্র করে রোড প্রোটেকশন, রাস্তায় জ্যাম এবং ঘরমুখো মানুষরা গ্রামের বাড়িতে যাবে তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এগ্রেসিভ পেট্রোল, এক্সটেনসিভ পেট্রোল পরিচালনা করা হবে মহাসড়কগুলোতে।
ঈদের দিন জামাতকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা দেয়া হবে এবং ঈদের পরেও বাজার ম্যানেজমেন্ট ঠিক মত পরিষ্কার করছে কিনা ও মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করা এগুলো আমাদের দায়িত্বের মধ্যে এনে পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং সে মোতাবেক কাজ করা হবে।
তারই অংশ হচ্ছে হাটের চাঁদাবাজি, অতিরিক্ত ইজারা আদায়, এ ধরণের অভিযোগ গ্রহণের জন্য প্রত্যেকটি হাটে র্যাবের সাপোর্ট সেন্টার এবং জাল টাকা সনাক্তের জন্য প্রত্যেক হাটে মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে।