নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

০৬ জুন ২০২৫

পুলিশের ভুমিকা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ

সিদ্ধিরগঞ্জে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার যুবকের পরিচয় সনাক্ত

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২২:৪১, ৪ জুন ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার যুবকের পরিচয় সনাক্ত

সিদ্ধিরগঞ্জে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় সনাক্ত হয়েছে। তার নাম দেলোয়ার হোসেন। সে চাঁদপুরের উত্তর মতলব ফরাজীকান্দি বড় হলুদিয়ার মো: মোহন বেপারীর ছেলে।

সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল দুই নাম্বার ঢাকেশ^রী এলাকায় বাড়ায় বসবাস করে ব্যাটারি চালিত অটো রিকসা চালাতো দেলোয়ার হোসেন।

এদিকে লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টায়ও পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। এমনকি এই ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে। এই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সালেকুজ্জামানকে সাংবাদিকরা কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এমনকি সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন আলমও সাংবাদিকের ফোন রিসিভ করছেন না। ফলে এই ঘটনার কোন আপডেট তথ্য পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশের নিস্ক্রীয়তায় মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে একই এলাকায় নৃসংশ দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তারা বলেন, রাতের বেলা পুলিশের তৎপরতা নেই বললেই চলে।

প্রসঙ্গত: মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়া দক্ষিন কদমতলী অনাবিল ব্রিজ সংলগ্ন ভান্ডারির পুল খালপাড় এলাকার ফখরুল ইসলামের মালিকানাধীন দোকান ঘরের সাটারের নিচ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ার দৃশ্য ও র্দুগন্ধ পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেয়। 

পরে বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত হিসেবে দেলোয়ার হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে ওই দোকানের ভেতর থেকে। লাশের পা দড়ি দিয়ে বাঁধা এবং কাপড় দিয়ে মুখ বাঁধা ছিল। কালো ক্যামিকেল যুক্ত কিছু দিয়ে মুখ বিকৃতি করে দেয়া হয়েছে।

লাশের কমর থেকে নিচের দিকে কোন কাপড় নেই। দেখে মনে হয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে অটো চালক দেলোয়ার হোসেনকে।  

দোকান মালিক ইসলাম জানিয়েছেন, গত ১ জুন তিনি এক ব্যক্তিকে দোকানটি ভাড়া দেন। তবে কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কিংবা ছবি সংগ্রহ করেননি।

 ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে কেবল একটি মোবাইল নম্বর রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, তার ধারণাও নেই লোকটা কে ছিল, কী করত। চুক্তিপত্রে শুধু নাম্বার ছিল।

আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে একটি নৃশংস হত্যাকান্ড, লাশ উদ্ধার