নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় শিশু সন্তানদের সামনে বিচারপ্রার্থী বাবা ও মাকে মারধরের ঘটনায় মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখায়াত হোসেন সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। হামলার শিকার রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান (৫০), সাত্তারের ছেলে ইসমাইল (৪৬), হিরন (৩৮), শাহালম (৪৮), টিটু (৫০), রাসেল ব্যাপারি (৩৫), এডভোকেট খোরশেদ আলম (৪০), এডভোকেট আল আমিন (৩৯), এডভোকেট বিল্লাল হোসেন (৩৮) এবং অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার।
এবিষয়ে মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা জানান, আজকে থানা থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয়েছে যে মামলাটি নেয়া হয়েছে। আমরা থানা থেকে মামলার কপিটি সংগ্রহ করেছি।
বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে মামলার বাদি রাজিয়া সুলনার স্বামী ইরফান মিয়া (৪২) রোববার একটি মামলার শুনানীতে অংশ নিতে আদালতে গেলে তাঁর ওপর হামলা চালান এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের জুনিয়র আইনজীবী ও মুহুরি। এতে আহত হন মো. ইরফান মিয়া, তাঁর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৩৮) ও তাঁদের দুই সন্তান।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪ তেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মামলা করতে গেলে এজাহারে আপত্তি জানায় পুলিশ।
পরে রাত ২টার দিকে ফতুল্লা থানা গেটের সামনে শিশুসন্তানকে নিয়ে বসে কান্নাকাটি করতে থাকেন রাজিয়া সুলতানা। এ সময় তিনি বলতে থাকেন, ‘নারায়ণগঞ্জের এসপি, সার্কেল এসপি, ওসি কেউ আমার মামলা নেয় নাই।
এখানে কেউ আসবেন না, এখানে কোনো বিচার নাই। মামলা না নেয়া পর্যন্ত আমি থানার গেইট থেকে যাবো না’। এক পর্যায়ে পুলিশ রাজিয়া সুলতানার অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে বাধ্য হয়।
এদিকে হামলার ঘটনার সঙ্গে কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবী করেছেন এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে ক্লিন ইমেজ নষ্ট করতে এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবী করেন তিনি।


































