
বিকালে মঞ্চ তৈরীল সময় তোলা ছবি
অবশেষে শক্তি পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান সাম্প্রতিক সময়ে বক্তব্য বিবৃতিতে বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে হুমকি-ধামকি দিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করলেও তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে। বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা ছিল শামীম ওসমান ও তার লোকজন সমাবেশে আসতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধা দিবে। কিন্তু সেটা আর হচ্ছে না। ফলে আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি বাধাহীনভাবে সমাবেশে আসতে পারবে। এবং সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিনও অনেকদিন পর শোডাউন করার সুযোগ পেল। এখন দেখার বিষয়, কত লোকের সমাগম ঘটে জেলা বিএনপির সমাবেশে।
এদিকে সমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে অনেকনেতাকর্মীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। তাদের মতে, ফতুল্লার ভূঁইগড় এলাকার পাসপোর্ট অফিসের পিছনে বিকেল ৪টায় এ সমাবেশ করা হবে। কিন্তু ষেখানে সড়কটিতে কাদাপানিতে সয়লাব। একপাশে দোকানপাট অপর পাশে খাল। এমন একটি স্থানে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সমাবেশের আয়োজন করা সঠিক হয়নি। আরও দৃশ্যমান স্থানে সমাবেশের আয়োজন করা উচিৎ ছিল।
ওদিকে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে সমাবেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। ইতমধ্যে দফায় দফায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রস্তুতি সভাও করেছেন জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, কেন্দ্রের নির্দেশে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভূঁইগড় এলাকার পাসপোর্ট অফিসের পিছনে গণসমাবেশের আয়োজন করেছে জেলা বিএনপি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন। অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্তিকরণ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের। অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, আজহারুল ইসলাম মান্নান, কাজী মনিরুজ্জামান, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরূল ইসলাম আজাদ উপস্থিত থাকবেন।
সূত্রমতে, জেলার রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ, আড়াইহাজার, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। ওই সকল এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জে অনেকদিন পর একটি জনসভা হতে যাচ্ছে। জনসভায় যাওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আমরা শুধু প্রচার করছি কেন্দ্র একটি কর্মসূচি দিয়েছে। আর এতেই প্রতিদিন আমার কাছে ফোন এসেছে, আপনারা জায়গা দিতে পারবেন না; এতো মানুষ আসবে! আশা করছি, এ জনসভা মহাসমুদ্রে পরিণত হবে।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমা বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আমাদের কোনো বাধা নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না ঘটে সেজন্য নিয়মিত দায়িত্বের অংশ হিসেবে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
প্রসঙ্গত: দীর্ঘদিন পর জেলা বিএনপি ঘোষণা দিয়ে সমাবেশ করার সুযোগ পেয়েছে। এই সমাবেশের উপস্থিতি বলে দিবে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা ও রাজপথে তাদের শক্তি কতটুকু। সেটা দেখার অপেক্ষায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।