নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে প্রখর দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকদিন। আর এই দাবদাহের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
তাপদাহের ভেতরেই তাদের বের হতে হচ্ছে। নাভিশ্বাস উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষের। অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না।
শনিবার (২৫ মে) বিকেল ৩টায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
এদিকে প্রচন্ড গরম সহ্য করতে না পেরে অনেকেই অচেতন হয়ে পড়ছেন। দেখা দিচ্ছে নানাবিধ রোগব্যাধি ও স্বাস্থ্য সমস্যা। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন। প্রয়োজন ছাড়া কেউই বের হচ্ছে না ঘর থেকে।
অনেকেই বের হচ্ছেন ছাতা নিয়ে। গরমে সবচেয়ে বেশি দূরভোগে পড়েছেন কর্মজীবীরা। আবহাওয়া অফিসের মতে দেশজুড়ে গরমের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
আর তীব্র দাবদাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন রিকশা চালক ও খেটে খাওয়া মানুষ গুলো।
শহরের রিকশাচালক আব্দুল সাত্তার বলেন, এতো গরমে রিকশা চালানো যায় না। গত দুই দিন বাসায় শুয়ে ছিলাম। স্ত্রী, ছেলে- মেয়েসহ পাঁচজনের সংসার। চাল কিনতে হবে তাই আজ রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। তিন- চারটা টিপ দিয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছে তাই একটু বসে থাকছি। আর এই গরমের মাঝে দূরের কোনো যাত্রী উঠাচ্ছি না।
আবুল হোসেনের নামের এক ব্যক্তি বলেন, প্রচণ্ড রোদে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন কাজ করতে হাঁপিয়ে উঠছে। সকালে জরুরি কাজে শহরে এসেছিলাম। দুপুরের দিকে প্রচণ্ড গরমে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। কোথাও স্বস্তি নেই। রাস্তাঘাটে লোক চলাচলও কম।
শহরের বিভিন্ন পুকুরে শিশুদেরকে গোসল করতে দেখা যায়। তারা বলেন, প্রচুর গরমে ঘরে থাকা যাচ্ছে না। তাই বন্ধুদের নিয়ে পুকুরে গোসল করতে এসেছি। বন্ধুদের নিয়ে গোসল করে এখন একটু স্বস্তি লাগছে।