বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এড.মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেছেন, গালিগালাজ, হুমকি-দামকি ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সংগে অশোভন আচরণ করে সাংসদ সেলিম ওসমান নিজের জনপ্রতিনিধি পদের সুনাম নিজেই বিনষ্ট করে চলেছেন। কুমুদিনী জুট প্রেসের শ্রমিকদের শ্রম আইন অনুযায়ী প্রাপ্য না দিয়ে বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করার ঘোষণা দিয়ে তিনি যে আইন অমান্যকারি টাকা ওয়ালাদের পক্ষে সেটি উম্মোচিত করে ফেলেছেন।
শনিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবুর রহমান ইসমাইল আরও বলেন, হাজার কোটি টাকার মালিক কুমুদিনী, হাসপাতালের ছাত্রী নিবাস বহুতল ভবন নির্মাণ করার আড়ালে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে বাসস্থান থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা করেছে । এই সাংসদ এখন কুমুদিনীর গুন গান নিয়ে ব্যস্ত এ কারণে তিনি শ্রমিকদের অধিকারের বিপক্ষে। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ কারণে বলেছিলেন, এ জগতে হায়, সেই বেশি চায়- আছে যার ভুড়ি-ভুড়ি, রাজার হস্ত করে সমস্ত, কাঙ্গালের ধন চুরি। তবে শ্রমিক দমন করে, অধিকার বঞ্চিত করে কেহ আরাম করে টিকে থাকতে পারেনি।
আরও পড়ুন :কুমুদীনির শ্রমিক ইস্যুতে সেলিম ওসমান ও ইসমাইলের মধ্যে বাদানুবাদ
তিনি আরও বলেন, পাট শ্রমিকেরা ৭১ এর মুক্তিযুদ্বে বুকের রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল তাদের অবদানের কথা সাংসদ সেলিম ওসমান ভুলে গেলেও নারায়ণগঞ্জের জনগণ ভুলবে না। শ্রম আইন অনুযায়ী প্রাপ্য পাওনা দাবি করা কোন অপরাধ নয়-তবে কেন শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে না। কুমুদিনী পাটের ব্যাবসা ছেড়ে হাসপাতালের ব্যাবসা করবে আমরা এর বিপক্ষে না বরং পক্ষে। বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করতে হলে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা আগে পরিশোধ করতে হবে-এটি আইন । নারায়ণগঞ্জ এর জনগণ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে আছে এবং থাকবে।