ফতুল্লা দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় অর্ধ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী। এ সকল মাদক ব্যবসায়ীদের রয়েছে প্রায় আরো কয়েক শতাধিক সেলস ম্যান। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখলেও রাঘব-বোয়ালরা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। মাঝে মধ্যে খুচরা বিক্রেতারা গ্রেপ্তার হয় আবার অল্প দিনের মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় ব্যবসা শুরু করছে।
এলাকাবাসীর তথ্য মতে, ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে অতি মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে মাদকের অপ ব্যবহার। রাজনৈতিক নেতা ও তাদের চেলা-চামুন্ডাদের মদদে মাদক ব্যবসায়ীরা নির্বঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা।মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে আইন-শৃংখলা বাহিনী অতিতে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করলেও দুই বছরেরও বেশী সময় রহস্যজনক কারনে সেই সাড়াশি অভিযানে অনেকটাই ভাটা পরেছে।কোন রকম দায়-সায়রা ভাবে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
তবে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করার না শর্তে জানান,ভাই মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করলে ঝামেলায় পরতে হয়।কারন গ্রেফতারের পর তারা আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দিলেই যাচাই-বাচাই না করেই সেই কর্মকর্তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়।ফলে পুলিশ কর্মকর্তারা মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে অতিতের মতো উৎসাহী হয়ে উঠেনা।
জানা যায়,ফতুল্লা শিল্পাঞ্চল জুড়ে যে সকল মাদক ব্যবসায়ীরা দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফতুল্লার পিলকুনির শেখ সালাউদ্দিন জনি,ও তার সহোদোর ভাই বাবু,ডাকাত তুজু, ভোলাইলের আল আমিন ওরফে রনি ওরফে কোটিপতি রনি, স্বপন, ফাজিলপুরে সাইদুল, মামুন ও তোফাজ্জল হোসেন, ফতুল্লা রেলস্টেশন, ব্যাংক কলোনির নিহত বোমা লিপুর ভাই ডিশান, জোড়পুল এলাকার তুফান, হালিম, সোহেল, বিল্লাল, পিচ্ছি সোহেল, সবুজ, মিন্টু, আজিজ, ডাকাত মোহন, ইয়াবা শাহিন, সাগর, চোরা সুমন, আলআমিন, শুভ, হান্ড্রেড বাবু,ডাকাত ফেলা জাবেদ, ভুইঘরের তানভীর,দাপা খোঁজ পাড়ার সবুজ ওরফে ইয়াবা সবুজ, বেপাড়ী পাড়ার বাংলা জলিল, দাপা মসজিদের রিপন কাজী, সেন্টু কাজী, উজ্জ্বল ও লিটন, মাসদাইর গুদারাঘাটের নাদিম ও পারুল ওরফে পারুলী, দাপা ইদ্রাকপুরের মন্টু মিয়া, পারভীন ওরফে নাইট পারভীন, লিটন ওরফে সাইকেল লিটন, মানিক ফাজিলপুরে সানি, টাগার পাড়ের, রকি, শারজাহান রোলিং মিলস্ এলাকার হেনা,কাইল্লা নাসির, শাহাজুল, ভাগিনা দেলু, রেলস্টেষন এলাকার গরু নাসির, আলামিন, এই মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে খুচরা আরো কয়েকশ’ মাদক বিক্রেতা।
এদের কেউ কেউ ফেনসিডিল, হিরোইন,গাজাঁ,ইয়াবা ট্যাবলেট,মদ,বিয়ার বিক্রি করে থাকে। ছোট কারবারিরা কখনো গ্রেফতার হলে বড় বিক্রেতারা তাদের আদালত থেকে জামিনে ছাড়িয়ে আনে। ফলে খুচরা বিক্রেতারা সব সময় একটা শেল্টার পেয়ে আসছে।আর বড় মাদক কারবারিরা রয়ে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে।ফলে কোন ভাবেই কমছেনা ফতুল্লায় মাদকের প্রভাব।