নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

১৯ মে ২০২৪

১১ দফা দাবিতে শহরে শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২০:৫৬, ৭ মে ২০২৪

১১ দফা দাবিতে শহরে শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ 

সরকার ঘোষিত নূন্যতম মজুরি বাস্তবায়ন, ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল, পিসরেট শ্রমিকদের মজুরি ৫০% বৃদ্ধি, দুই ঈদে বেসিকের সমপরিমাণ ঈদ বোনাস, বকেয়া অর্জিত ছুটির টাকা পরিশোধ, সকল শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদান, মাতৃত্বকালীন সবেতনে ৪ মাসের ছুটি, চাকরি থেকে রিজাইন দিলে সার্ভিস বেনিফিটের টাকা পরিশোধসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের
দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইউনাইটেড অ্যাপারেলস কম্পোজিট ( প্রাঃ) লিঃ এর শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে শ্রমিকরা। 

বিক্ষোভ সমাবেশে কারখানার শ্রমিক বাদলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, গাবতলী পুলিশ লাইন শাখার সভাপতি হাসনাত কবির, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি রুহুল আমিন সোহাগ, গাবতলী পুলিশ লাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শাখার সহ-সভাপতি আনোয়ার খান, কারখানার শ্রমিক দ্বীন ইসলাম, মাহাবুব, জুয়েল, শাহীন প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই কারখানার মালিক বাংলাদেশ শ্রম আইন মেনে কারখানা পরিচালনা করে না। শ্রমিকদের জন্য সরকার ঘোষিত নূন্যতম মজুরি কোন সালেই বাস্তবায়ন করে নাই। নারী শ্রমিকদের সবেতনে চার মাসের ছুটিসহ সুবিধা দেয় না। 

পিসরেট শ্রমিকদের মজুরি আইন অনুযায়ী বৃদ্ধি করে না, শ্রমিকেরা রিজাইন দিলে সার্ভিস বেনিফিটের টাকা আইন অনুযায়ী পরিশোধ করে না, বছর শেষে অর্জিত ছুটির টাকা দেয় না, যেকোনো সময় শ্রম আইন লঙ্ঘন করে শ্রমিক ছাঁটাই করে,শ্রমিকের অধিকার বঞ্চিত করার চক্রান্তে লিপ্ত থাকে সর্বদাই মালিক। 

শ্রমিকেরা ইতিপূর্বে কারখানার মালিকের নিকট লিখিতভাবে দাবিসমূহ মেনে নেওয়ার আহবান করেছিল। মালিক সব সময় শ্রমিকদের কোণঠাসা করে রাখা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে।

মালিক যখন দাবি মেনে না নেয়, পরবর্তীতে শ্রমিকারা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহা পরিদর্শক, বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক, বিকেএম এর সভাপতি বরাবর মালিকের নিকট দেয়া দাবি সমূহের অনুলিপি পেশ করে।

তারপরও কেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংকট নিরসনের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখে নাই, আমাদের বোধগম্য নয়। 

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মে দিবসে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক বলেন সরকার শ্রমিকদের জন্য কাজ করছে, কি কাজ করছে আমরা জানিনা, এই কারখানার মালিক বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ন্যূনতম মজুরি কখনও বাস্তবায়ন করেন নাই।

এ ব্যাপারে পুলিশের কেন নজর নেই, মালিককে কেন শাস্তি দেওয়া হয় না? নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল,নূন্যতম আমাদের বাস্তবায়ন সহ ১১ দফা দাবি মালিকপক্ষ যেন মেনে নাহয় দ্রুত সে আহ্বান জানান।