নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

সোমবার,

২৯ এপ্রিল ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে পুলিশি বাধায় ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন  

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৩:০৩, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

নারায়ণগঞ্জে পুলিশি বাধায় ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন  

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সবধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে নারায়ণগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের আয়োজিত মানবন্ধন পুলিশি বাধার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।  শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় চাষাড়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।  


সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মো. নুর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. সাইফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. শামসুল আলম, অর্থ সম্পাদক মুহা. আমির হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলন নগর সভাপতি, ডা. মিজানুর রহমান, শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মাও. আঃ হান্নান, ইশা ছাত্র আন্দোলন নগর সভাপতি এম. শফিকুল ইসলাম, শ্রমিক আন্দোলন নগর সভাপতি আলহাজ শেখ হাসান আলী, ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শহর শাখার সেক্রেটারি আব্দুর রহমান রোমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি মোঃ বিল্লাল হোসেন, বন্দর থানার সভাপতি, আবুল হাশেম সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


মানববন্ধনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সম্ভাম্য মেয়র প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। করোনার কারণে নয় বরং জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংসের জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। 


তিনি বলেন, দেশের সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জাতিকে মেধাহীন করার চক্রান্ত চলছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হাটবাজার, কলকারখানা, গণপরিবহন ও বিনোদন কেন্দ্রসহ সবকিছু খোলা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন?


সভাপতি নূর হোসেন বলেন, বিশ্বের যে সকল দেশে করোনা মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সে দেশগুলোতেও ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অধিকাংশ জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। আমাদের দেশেও বিশেষজ্ঞগণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার সেদিকে কোন কর্ণপাত করছে না। 


তিনি বলেন, দেশের অভিভাবকগণও আমাদের কাছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে আসছে। আমরাও শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের কাছে বারবার দাবি জানিয়ে আসছি। এখন দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা রাজপথে নেমে এসেছি। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে পর্যায়ক্রমে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।


স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ‘ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনে সরকারের অনুমতি প্রয়োজন’ মর্মে উত্থাপিত প্রস্তাবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এতে নতুন মসজিদ-মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পথ চরমভাবে সংকুচিত হবে।

 

এটা ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। দেশকে ইসলামশূন্য করার অংশ হিসেবেই এধরণের আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, এদেশ আস্তিকদের দেশ। এদেশকে নাস্তিকদের হাতে ছেড়ে দেয়া হবে না।


সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রীর বক্তব্যে বুঝা যায়, সরকার করোনার জন্য নয়, বরং আন্দোলনের ভয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। সরকার ক্ষমতার স্বার্থে যা করার তাই করছে।