নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

২৯ মার্চ ২০২৪

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন মতিন মাস্টার

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:০২:১৪, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন মতিন মাস্টার

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জাতীয় শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার।


বুধবার (৭ সেপ্টম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর কার্যালয় থেকে তার পক্ষে দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টম্বর) আব্দুল মতিন মাস্টার দলীয় মনোনয়ন পত্র জমা দিবেন বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান।

 

স্থানীয় আওয়ামীলীগের সূত্রমতে, ১৯৬৭ সালে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত হন মতিন মাস্টার। ১৯৭৩ সাল থেকে ৭৪ সাল পর্যন্ত ছাত্র ইউনিয়ন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শাখার যুগ্ন সম্পাদক ছিলেন। এরপর ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জ ও ডেমরা শ্রমিক লীগের বিভিন্ন কর্মসূচীতে সক্রীয় অংশগ্রহন করেন। ১৯৭৫ সাল থেকে শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় পর্যায় ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় সকল আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেন তিনি। ১৯৭৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময় জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সহ-সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক কমিটির সদস্য, সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালের ৩রা জুলাই জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের ১৭ জুলাই পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ বছর জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্ব পালন করেন।

 


এছাড়া তিনি জাতীয় মজুরী ও উৎপাদনশীলতা কমিটির সাবেক সদস্য ছাড়াও বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেরও সদস্য, শ্রম মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন শ্রমিক কল্যান ফাউন্ডেশনের সদস্য, শ্রম আইন সংশোধন কমিটির সদস্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ত্রিপক্ষিয় পরামর্শ পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, ঢাকা ১ম শ্রম আদালতের সদস্য, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির আজীবন সদস্য, সানারপাড় শেখ মরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়েরর আজীবস সদস্য, মিজমিজি, পাইনাদী রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন সদস্য, শিমরাইল ডি এস এন সিনিয়র মাদ্রাসার আজীবন সদস্য ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

 


দলীয় সূত্রমতে, ১৯৭৫ সালের পর থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দলীয় সকল রাজনৈতিক ও শ্রমিক আন্দোলনে স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহন করেন মতিন মাস্টার। ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াত জোট বিরোধী আন্দোলনে এলাকা ভিত্তিক ও জাতীয় ভিত্তিক সকল আন্দোলনে এবং শ্রমিক শ্রেনীর সকল আন্দোলনে সক্রীয় ভুমিকা পালন করেছেন তিনি। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এবং ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় আন্দোলন করতে গিয়ে কয়েক দফা গ্রেফতার ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন মতিন মাস্টার। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবীর ব্যাপারে আন্দোলন করেন। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার পর নেত্রীর মুক্তির জন্য অনশন, সাবজেল গেইটে অবস্থানসহ বিভিন্ন সময় পত্রিকায় বিবৃতি দেন মতিন মাস্টার। এছাড়াও সারাদেশ ব্যপি নেত্রীর মামলা প্রত্যাহারের জন্য দাবী দিবস পালন করেন তিনি।

 


পারিবারিক তথ্যমতে, ১৯৭০ সালে এসএসসি, ১৯৭৩ সালে এইচএসসি পাস করার পর ১৯৭৫ সালে বিএ পরীক্ষার্থী ছিলেন মতিন মাস্টার। ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিএ পরীক্ষা দেয়া হয়নি আবদুল মতিন মাস্টারের। ১৯৭২ সালে বিনা বেতনে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে কর্মময় জীবন শুরু করেন আবদুল মতিন মাস্টার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নির্মমহত্যাকান্ডের পর সরকারী চাকুরী ছেড়ে বেসিক লেবেল থেকে দলের কেন্দ্রীয় সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করেন মতিন মাস্টার।
 

সম্পর্কিত বিষয়: