নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

সোমবার,

২০ মে ২০২৪

বন্দরে ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কমাতে পটকা বিষ্ফোরণের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৮:২৩, ৮ মে ২০২৪

বন্দরে ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কমাতে পটকা বিষ্ফোরণের অভিযোগ

বন্দর উপজেলা নির্বাচনে একটি ভোট কেন্দ্রে ‘পটকা’ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুশিয়ারা হাজী আবদুল মালেক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে একটি পটকা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

এ সময় কেন্দ্রের সামনে থাকা ভোটার ও লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। এরপর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কেন্দ্রটির পেছন দিক থেকে কেন্দ্রের ভেতর বোমাসদৃশ বস্তু ছুড়ে মারা হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রটির বাইরে ও ভেতরে অন্তত ৮টি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের পর কেন্দ্রটিতে ভোটার উপস্থিতি কমে যায়। পরে কেন্দ্রটিতে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়।

তবে অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রটিতে ভোটার উপস্থিতি কমাতে পরিকল্পিতভাবে এ বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটনো হয়। এসময় কেন্দ্রের সামনে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের অবস্থান করছিলো। তাদের এখানা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। পরে পুলিশ এসে তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। 

এদিকে প্রথম বিস্ফোরণের পর নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসিকিউশন) আবদুল্লাহ আল মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন।

সরেজমিন দেখা যায়, বেলা ১১টার দিকে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ কেন্দ্রটি পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তাঁর সমর্থকেরা কেন্দ্রের বাইরে দোয়াত-কলমের পক্ষে স্লোগান দেন।

তিনি কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে চলে গেলে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান ওরফে বিন্দু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েলসহ শতাধিক নেতা-কর্মী কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নেন। 

এ সময় তাঁরা দোয়াত-কলমের পক্ষে স্লোগান দেন। প্রায় আধঘণ্টা অবস্থানের পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রের বাইরে একটি পটকা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এতে কেন্দ্রের সামনে থাকা ভোটার ও লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। 

এ বিষয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাসনাত রহমান বলেন, প্রথম বিস্ফোরণের সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। পরে প্রশাসনের অনুরোধে আমরা চলে এসেছি। আমরা কোনো বিস্ফোরণ ঘটাইনি। আমরা মনে করছি, চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমানের লোকজন নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে নিজেরাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

চিংড়ি প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) আতাউর রহমান ওরফে মুকুলের অভিযোগ, বিদ্যালয়টিতে তিনটি কেন্দ্রে ৭ হাজার ২ জন ভোটার রয়েছেন। কেন্দ্রটি তাঁর বাড়ির পাশে হওয়ায় সেখানে তাঁর সমর্থিত ভোটারই বেশি। দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন তাঁর ভোটারদের ভয় দেখাতে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

বিস্ফোরণের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসিকিউশন) আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, কেউ বলছে পটকা ফুটিয়েছে, আবার একজন বয়স্ক লোক বললেন, টায়ার বিস্ফোরণ হয়েছে। একেকজন একেক কথা বলছেন। আমরা কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেওয়া লোকজনকে অনুরোধ করার পর তাঁরা সেখান থেকে চলে গেছেন।

এ উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ (দোয়াত-কলম), সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান ওরফে মুকুল (চিংড়ি), মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মাকসুদু হোসেন (আনারস) এবং তাঁর ছেলে মাহমুদুল হাসান (হেলিকপ্টার) নির্বাচন করছেন।