
ব্যস্ততায় ভাবার সময় নাই
-গাজী খায়রুজ্জামান
এই তো আছি, এই তো নাই-
মিছে মায়ায় ঘুরছি ভাই,
কখন যে হারিয়ে যাই
একটু ভাবার সময় যে নাই।
ব্যস্ত শহরে ব্যস্ত মানুষ
কে-বা রাখে কার খবর?
যার যার ব্যস্ততায়-
ভুলে যায় নিতে, নিজের-ই খবর।
ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুরা করে
কেউবা নাস্তা খায়, কেউবা না খেয়ে-
চলে যায়- যার যার কর্মস্হলে,
সারা দিনের কর্ম ব্যস্তায়-
ঘর্ম শুকিয়ে যায় চেহারায়
মুছে দেওয়ার সময়টুকু নাই।
দিন শেষে রাত্রি গড়ায় পথে-
ক্লান্ত দেহে ফিরতে হয় নীড়ে,
কখন যে সূর্য ডুবে-উঠে
দেখার তো সময় আর নাই!
চার দেওয়ালের ইটে বন্দি-
ছোট্ট একটি ঘরে,
রুদ্ধশ্বাসে থাকি দিবা-নিশি
শরীরের যত্ন নেওয়ার সময় কই?
সবুজের বিশাল মাঠ
দিগন্ত ছোঁয়া আকাশ,
নদীর তীরে কাশবন
শরতের মহাকাশ,
সমুদ্রে সূর্য ডুবা-উঠার-
এমন সুন্দর মনোরম দৃশ্য!
দেখার সময় কই?
কর্ম ব্যস্ততায় সারাদিন রই।
সবুজ-বন-প্রকৃতি দর্শনে-
দুই নয়নের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে,
অঢেল অক্সিজেনের প্রভাবে-
দেহ মন সতেজ থাকে।
এসব দর্শন তো দূরের কথা-
একটু ভাবারও সময় যে নাই!
নদীর কূলে সাগর তীরে-
শীতল হাওয়া আর ঢেউয়ের তালে,
দেহ মন ছন্দে-আনন্দে নাচে-
ফিরে আসে জীবনের তাল।
ওখানে যাওয়া তো দূরের কথা-
একটু ভাবারও সময় যে নাই!