নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

১৮ জুন ২০২৫

আড়াইহাজারে যুবদলের আহবায়কের পেটে ১২শ’ পিস ইয়াবা

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২৩:০২, ১৭ জুন ২০২৫

আড়াইহাজারে যুবদলের আহবায়কের পেটে ১২শ’ পিস ইয়াবা

আড়াইহাজারের গোপালদী পৌরসভার ব্রাহ্মডৌকাদী এলাকার দ্বিন ইসলামের বাড়ি থেকে সম্প্রতি, ১২শ’ পিস ইয়াবা, ২লাখ ৮৭ হাজার টাকা ও আঠানি স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়।

পরে গোপালদী পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক আজিজুল ৪০০ পিস ইয়াবা (ট্যাবলেট) স্থানীয় শরীফ নামে এক যুবকের কাছে বিক্রি করার জন্য দেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা শরীফকে আটক করে। পরে সে আজিজুল তাকে ইয়াবাগুলো দিয়েছে বলে সে স্বীকার করে।

এনিয়ে স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে বেশ কয়েকবার সভা করে বিষয়টি দামাচাপার চেষ্টা করছেন আজিজ। তবে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মীসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী আজিজুলের প্রতি ক্ষিপ্ত হচ্ছেন।

স্থানীয় যুবদল নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, গোপালদী পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক আজিজুলসহ আরো কয়েক জনে মিলে ব্রাহ্মডৌকাদী এলাকার দ্বিন ইসলামের বাড়ি থেকে ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, ১২শ’ পিস ইয়াবা ও আঠানি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে আসেন।

পরে উদ্ধারকৃত মালামাল পুলিশের কাছে হস্তান্তর না করে আজিজুল ৪০০ পিস ইয়াবা (ট্যাবলেট) বিক্রি জন্য শরীফের কাছে দেয়। পরে এগুলো বিক্রি করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের কাছে হাতেনাতে ধরা পরে যায়। এনিয়ে কয়েক দফা স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের একাংশ নিয়ে সভা করে বিষয়টি দামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। 

নাম না প্রকাশের শর্তে গোপালদী পৌরসভা যুবদলের এক নেতা বলেন, এমন ঘটনায় যুবদল তথা বিএপির ভাবমূর্তি জনগণের কাছে নষ্ট হয়ে গেছে। অতিদ্রুত আজিজুলকে দল থেকে বহিস্কারের দাবী জানাচ্ছি। 

তিনি আরো বলেন, আজিজুল দলের পদ-পদবী নিয়ে এলাকায় মাদকের ব্যবসায় জড়িত আছেন। তার ব্যক্তিগত অপরাধের দায় দল কেন নিবে। স্থানীয় বিএনপির এক নেতা বলেন, এমন ঘটনায় জনগণের কাছে আমরা মুখ দেখাতে পারছিনা। ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে এগুলো পুলিশের কাছে না দিয়ে বিক্রির জন্য এক যুবকের হাতে তুলে দিয়ে আজিজুল সমাজকে নষ্ট করে দিয়েছে। তার কাছ থেকে এমন ধরনের বিষয় আমরা আশা করেনি। দলের মধ্যে এমন কোন ব্যক্তিকে ঠাঁই দেওয়া ঠিকনা। 

স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই বলেন, আজিজুল সরাসরি ইয়াবার ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি দ্বিন ইসলামের বাড়ি থেকে এগুলো উদ্ধার করে পুলিশের কাছে না দিয়ে নিজেই ভোগ করে ফেলেছেন। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি। পাশপাশি দল থেকেও যেন তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। 

এদিকে গোপালদী পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক আজিজুল বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ইয়াবা উদ্ধারের বিষয়টি দলীয় একনেতা আমাকে অবহিত করেছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’