
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে মাকসুদুল হাসান জনি (২৯) নামের এক যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
নির্মাণাধীন ভবনের পাশে জনির মরদেহ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এ ঘটনায় র্যাব-১১ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মৃত মজি ভূয়ার ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৪৮), আব্দুল মমিনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০) এবং মৃত জুলহাসের ছেলে মো. আকাশ (৩০)। তারা সবাই সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় বাগমাড়া নিমাইকাশারী এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জনি ও তার কয়েকজন সহযোগী দীর্ঘদিন ধরে নিমাইকাশারী ও আশপাশের এলাকায় চুরি ও ছিনতাই করে আসছিলেন। ১৪ জুলাই রাত ২টার দিকে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র বিরোধ দেখা দেয়।
একপর্যায়ে সহচরদের কেউ কেউ জনিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তাকওয়া টাওয়ার নামে একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাশে ফেলে রেখে যায়।
১৮ জুলাই শুক্রবার দুপুরে জনির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত জনির বাবা শুকুর আলী ওই রাতেই সাতজনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহীনূর আলম বলেন, ঘটনার পরপরই আমাদের একাধিক টিম অভিযানে নামে। পুলিশ দুইজনকে এবং র্যাব একজনকে গ্রেপ্তার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
আমরা আরও কয়েকজনের নাম পেয়েছি, যাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ড একটি সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের কার্যকলাপের অংশ কি না, সেটিও আমরা খতিয়ে দেখছি।