
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ সস্তাপুর তিন রাস্তা মোড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি-সৌচাগারের পানি সহ ময়লার নোংরা পানি সারা বছর ধরে জমে থাকে।
আর এতে ভোগান্তিতে পরতে হয় সড়কে চলাচল পথচারী ও এলাকাবাসীর। তাছাড়া এই ময়লাযুক্ত পানির কারনে মশার উপদ্রব সহ অনেকেই নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগষ্ট) সকালে সরজমিয়ে গিয়ে দেখা গেছে রাস্তায় জমে আছে ময়লা কাদাযুক্ত হাটু পানি। আর এই পানি দিয়ে চলছে অটোরিক্সা, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল সহ ও কন্টিনারের মতো ভারী যানবাহন।
এছাড়াও এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয় স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে হাজার হাজার খেটে খাওয়া গার্মেন্টস কর্মীদের। তাদের অজান্তেই নোংরা পানিতে নষ্ট হচ্ছে জামাকাপড়।
আর এলাকার খুদে ব্যবসায়ীরা ও আছেন চরম ভোগান্তিতে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঠিক মতো খুলতে না পারায় তাদের অনেকেই অর্থ সংকটে পরতে হচ্ছে।
জানতে চাইলে হোটেল ব্যবসায়ী জিয়া বলেন, রাস্তার সাথেই আমার হোটেল। আগে অনেক কাস্টমার আসতো তাই ব্যবসা ভাল চলতো। কিন্তু এখানে বছর জুড়ে নোংরা পানি জমে থাকায় কাস্টমার কমে গেছে।
এতে আমরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। শুধু আমি না আমার মতো অনেক মুদি দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা আছেন যারা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই অতিদ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অটোচালক মানিক মিয়া বলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এখানে সারা বছর বৃষ্টি ও নর্দমার ময়লা যুক্ত পানি জমে থাকে। এছাড়াও রয়েছে খানাখন্দ যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
পথচারী করিম মিয়া বলেন, জলাবদ্ধতা দিয়ে হাটতে গিয়ে অনেক বিপাকে চলতে হয়। নিচে রাস্তা উপরে পানি অনেক সময় না বুঝে হাটতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ও ঘটে। তাই দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা উচিত।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, বিষয়টা এর আগে আমার নজরে আসেনি। রাস্তার পানি নিষ্কাষনে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে খাল পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে আশাকরি এই জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হবে।
ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ড্রেন এবং রাস্তা সংষ্কার প্রকল্পের প্রস্তাব করেছি। আশাকরি আমরা দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে পারবো।