
ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতা জামাল মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা নাজমুল হোসেন। নাজমুল হোসেন কাশীপুর সম্রাট হল এলাকার বাসিন্দা।
সূত্রমতে, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও চিহ্নিত ভূমিদস্যু আনিসুর রহমান শ্যামলের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত নাজমুল। বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে শ্যামলের আর্শিবাদে কাশীপুর ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হন তিনি।
যুবলীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকেই মূলত নাজমুল অনেকটা র্দুর্ধষ হয়ে উঠেন। স্থানীয় এলাকার ঝুট সেক্টর থেকে শুরু করে মাদক এবং ভূমিদস্যুতাসহ সকল কিছুর একক নিয়ন্ত্রণ ছিলো নাজমুলের হাতে। শুধু তাই নয়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে স্থানীয় মানুষের সাথে জুলুম নির্যাতন ছিলো তার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
এদিকে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নাজমুলের ওস্তাদ ও প্রধান শেল্টারদাতা কাশীপুরের চিহ্নিত ভূমিদস্যু আনিসুর রহমান শ্যামল আত্মগোপনে চলে যায়। তবে তার অস্ত্রেরভান্ডার পুরোটাই গচ্ছিত রেখে যায় র্দুর্ধষ সন্ত্রাসী নাজমুলের কাছে।
তবে নাজমুলও এলাকায় বেশি দিন টিকতে পারেনি। ফলে তিনিও ওস্তাদের মত বাধ্য হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। তবে কোন এক রহস্যজনক কারণে কিছুদিন পরই এলাকায় দেখা যায় নাজমুলের। এলাকায় ফিরে তিনি আবারও তার সাম্রাজ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করেছে।
বর্তমানে নাজমুল এলাকায় ফের আধিপত্য বিস্তার সহ নানা অপকর্ম করার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন। তারা বলেন, জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন এ নাজমুলরা।
যারফলে দেশের পটপরিবর্তনের সাথে সাথে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু পরবর্তিতে তাদের নামে একাধীক মামলা হলেও এখন পর্যন্ত তাদের কাউকেই গ্রেফতারে প্রশাসনের তেমন কোন উদ্যোগ চোঁখে পড়ে না।
ফলে প্রশাসনের গ্রেফতারের গাফলতি থাকায় ওই আওয়ামী যুবলীগ সন্ত্রাসীরা ধীরে ধীরে এলাকায় ফিরে আসছে। শুধু তাই নয়, এলাকায় ফিরে তারা পূর্বের মত আচরণ করছে। বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে ফিরে আবারও আধিপত্য বিস্তারসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার চেষ্টা করছে।
এলাকাবাসী আরও জানান, স্থানীয় একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের শেল্টারে এলাকায় ফিরে এসেছে সন্ত্রাসী যুবলীগ সন্ত্রাসী নাজমুল। বর্তমানে তাদের ছত্রছায়ায় থেকেই তিনি নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে।
তবে এসমস্ত সন্ত্রাসীদের কোনভাবেই আশ্রয় প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্য স্থানীয় ওই রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি এই চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য ফতুল্লা থানা পুলিশের প্রতিও বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।