যৌতুকের দাবীতে লিজা আক্তার(৩০)নামক এক গৃহবধূকে গরম পানি পানি দিয়ে জ্বলসে দেওয়ার অভিযোগে স্বামী, শ্বাশুড়ি ননদ সহ পাঁচ জনকে আটক করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২১ জুন) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার পাগলা নন্দলালপুর এলাকায়। এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর মা চম্পা বেগম বাদী হয়ে গৃহবধূর স্বামী আনোয়ার হেসেন (৪২), শ্বাশুড়ি খোদেজা (৬০), স্বামীর বোন রোকসানা বেগম (৩০) আফসানা (২৫),মনি বেগম (২২)কে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।পুলিশ লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ৯ বছর পূর্বে তার মেয়ে লিজা আক্তারের সাথে পাগলা নন্দলালপুর বৌ বাজার এলাকার মৃত আলমাস মিয়ার পুত্র আনোয়ার হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন যৌতুকের দাবিতে লিজা আক্তারকে শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। কিন্তু লিজার সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ীর লোকজনের চাহিদা পূরণ করার চেস্টা করতো তারা।
তারপরও আসামীরা লিজার উপর নির্যাতন অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল ১১টার দিকে অভিযুক্তরা লিজাকে মারধর করছে এমন সংবাদ লোকমুখে জানতে পেরে লিজার মা, ভাই ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সামনেই লিজাকে মারধরসহ চুলায় থাকা গরম পানি নিয়ে এসে শরীরের উপর ছুড়ে মারে। ফলে লিজার ঘাড় হতে দুই পা পর্যন্ত ঝলসে যায়। তখন তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্তরা লিজাকে ঘরের ভিতরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় লিজাকে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, গরম পানি দিয়ে ঝলসে দেওয়ার একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রাথমিকভাবে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে নির্যাতিত গৃহবধূর সাথে কথা বলতে পারলে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবেন বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন:ফতুল্লায় চালককে খুন করে মিশুক ছিনতাই, ঘাতক গ্রেপ্তার
