
আড়াইহাজার থানার কালাপাহাড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পাশেই দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে চলছে রমরমা জুয়ার আসর। পুলিশ বলছে, বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে এলাকাবাসীর দাবি, পুলিশকে ম্যানেজ করেই প্রভাবশালীরা চালাচ্ছে জুয়া ও মদের আসর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এম ওবায়দুল ইসলাম বাদল এর বাড়ির পাশে ও কালাপাহাড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে মাত্র এক’কিলোমিটার দূরেই চলছে এই রমরমা জুয়ার আসর।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানিয়েছেন, আড়াইহাজার থানার কালাপাহাড়িয়া গ্রামের সড়ক পাড়া এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী আনোয়ার, শহিদ, আসকরের নেতৃত্বে দিন-রাত চলছে এ জুয়া ও মাদকের আসর। প্রতিদিন এখানে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা হয় এ স্থানে।
আড়াইহাজার উপজেলা ছাড়াও আশপাশের উপজেলা থেকে আসে জুয়া খেলার লোকজন। এদের অস্বাভাবিক আনাগো ও চলাফেরায় ওই এলাকার নারীরা সব সময় সম্মান হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে থাকে।
জুয়ার নেশায় আসক্তরা এখানে এসে জুয়া খেলে। আর লাখ লাখ টাকা হেরে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরে। এ জুয়ার আসরে এক সঙ্গে ১৫ থেকে ২০ জন বসে জুয়া খেলে। প্রত্যেক ব্যক্তি জুয়ায় ১’হাজার থেকে শুরু করে ৫’হাজার টাকা পর্যন্ত বাজি ধরে টাকা জমা দেয়।
এ ব্যাপারে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মঞ্জুর হোসেন বলেন, আমি শুনেছি সেখানে জুয়া খেলার আসর বসে। তবে কাদের নেতৃত্বে ও কারা কখন বসে সেটা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এম ওবায়দুল ইসলাম বাদলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে কালাপাহাড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি সঠিক হলে এটা দ্রুত বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।