নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

সোমবার,

২৯ এপ্রিল ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে ১ দিনে ৫ লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২২:১১, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সিদ্ধিরগঞ্জে ১ দিনে ৫ লাশ উদ্ধার

সিদ্ধিরগঞ্জে একদিনে পাঁচ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে চারটি। এছাড়া মিনিবাসের হেলপারের লাশ উদ্ধার হয়েছে গাড়ির ভেতর থেকে।

 

লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, উদ্ধারকৃত লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। সবকয়টি ঘটনার পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।


জানাগেছে, শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন লুৎফর রহমান জনি (৩৫)। ৩৫ দিন আগে একই ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছিলের তার স্ত্রী এক সন্তানের মা স্বর্ণা। নিহত লুৎফর রহমান জনি আটি হাউজিং এলাকার প্লট ও ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সভাপতি আউয়াল মিয়ার ছেলে।


এছাড়া শনিবার ভোরে সিদ্ধিরগঞ্জে সুমিলপাড়ার জহির মিয়ার বাড়ির তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী নাসরিন আক্তার (২৪) ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।


সিদ্ধিরগঞ্জে ওয়াবদা এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে হাসিনা আক্তার (২৭) নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। নিহত হাসিনা আক্তার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের নুর ইসলামের মেয়ে। তার স্বামীর নাম মো: সানি । তিনি দিনমজুরের কাজ করে। সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের ওয়াবদা কলোনি এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।


সিদ্ধিরগঞ্জে রশি নিয়ে খেলতে খেলতে গলায় ফাঁস লেগে স্বাধীন (১১) বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আটি হাউজিং এলাকার ৭ নম্বর রোডের জাহাঙ্গির মিয়ার বাড়ির ষষ্ট তলার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই শিশুর বাবা রাজমিস্ত্রি এবং মা গৃহকর্মীর কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো তাকে তার নানির কাছে রেখে তারা কাজের উদ্দেশ্যে বাইরে যান। বিকেলের দিকে সে বাসার বারান্দায় খেলার ছলে কাপড় শুকানোর রশি পেঁচিয়ে ঝুলতে চেয়েছিল। এ সময় রশির সাথে গলায় ফাঁস লেগে নিহত হয়।


এছাড়াও সকালের দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের ল্যান্ডিংস্টেশনে মিনিবাস থেকে মছিবুর রহমান (৩৬) নামের এক হেলপারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মছিবুর রহমান ঢাকার বাড্ডার মগারদিয়া এলাকার মজিবুরের ছেলে।

 

শুক্রবার রাতে মিনিবাসের ভেতরে ঘুমিয়ে পড়েন মছিবুর রহমান। শনিবার সকালে বাসের অন্যান্য স্টাফরা তাকে ডাকতে গিয়ে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।