নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ভাসুর মানিক মিয়ার ধারালো বটির কোপে ছোট ভাই ওমর মিয়ার স্ত্রী সাবিনার বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধু সাবিনার বোন সখিনা বাদি হয়ে মানিক (২৮), ফাতেমা (২৫) ও সাদিয়া (২৪) এর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে শনিবার সকালে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২২।
এদিকে ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ এজাহার নামীয় আসামি মানিক, ফাতেমা ও সাদিয়া আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, ৩ বছর পূর্বে আহত সাবিনার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে গ্রেপ্তারকৃত মানিকের ছোট ভাই ওমর ফারুক (২৮) এর বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে সাবিনাকে শশুর বাড়িতে না উঠিয়ে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছে।
মামলার অভিযুক্তদের সাথে বিরোধ থাকলেও ভুক্তভোগী সাবিনার ননদ ইতি (২৪) সহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের সহিত সু-সম্পর্ক ছিল।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে সাবিনার ননদ ইতি (২৪) এর মাথায় মানিক কাঠের ডাসা দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। ইতির ডাক চিৎকারে বাদি সখিনা ও তার ছোট বোন সাবিনাসহ আরো অন্যান্য লোকজন তাদের বাড়িতে যায়।
এ সময় অভিযুক্ত আসামিরা পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাবিনাকে এলোপাথারীভাবে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে মানিক রান্না ঘর থেকে ধারালো বটি নিয়ে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে সাবিনার মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারে।
এ সময় সাবিনা আত্নরক্ষার্থে বাম হাত দিয়ে ফিরাতে গেলে কোপ তাহার বাম হাতে লেগে সম্পূর্ণ কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরে সাবিনাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার পুঙ্গ হাসপাতাল রেফার্ড করলে আমরা তাকে পুঙ্গ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মোহাম্মদপুর লালমাটিয়া সিটি হাসপাতাল নিয়া ভর্তি করানো হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।