নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

৩০ এপ্রিল ২০২৪

ফতুল্লার চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক দানিয়াল হত্যাকান্ডে জড়িত রাব্বি গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২১:১৩, ৩০ মার্চ ২০২৪

ফতুল্লার চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক দানিয়াল হত্যাকান্ডে জড়িত রাব্বি গ্রেপ্তার

ফতুল্লার চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক আল-আমিন ওরফে দানিয়াল হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ইমরান হোসেন রাব্বি (২০) কে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে  তাকে মাসদাইর খানকা রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত ইমরান হোসেন রাব্বি ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর খানকা রোড এলাকার মৃত মনির হোসেনের পুত্র।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে দানিয়াল হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন জানায়, হত্যাকান্ডের সিসি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে জড়িতের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার স্বীকার করেছে। 

এর আগে এজাহারনামীয় আসামি অনিক প্রধানকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১-এর সদস্যরা।র‌্যাব-১১ লালমনির হাট জেলার জেলার সদর থানাধীন ড্রাইভার পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব-১৩-এর সহায়তা নিয়ে দানিয়াল হত্যা মামলার অন্যতম ২ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি অনিক প্রধানকে গ্রেফতার করে। তাছাড়া হত্যাকান্ডের পরপরই পুলিশ অনিকের নানা মামলার প্রধান আসামী রামু কে গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য যে,গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক বিক্রয়ে বাঁধা প্রদানকে কেন্দ্র করে আসামিরা আল-আমিন ওরফে দানিয়াল ও শুভকে (২৭) নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় আক্রমণ করে মারধর করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে যায়।

এ সময় আসামিরা তাদেরকে ফেলে চলে যায়। পরবর্তীতে রাত আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে আহত অবস্থায় ফতুল্লা থানার মাসদাইর বাড়ৈভোগ ফারিয়া গার্মেন্টস-সংলগ্ন খানকার মোড়ে পৌঁছালে আসামিগণ পুনরায় হত্যার উদ্দেশে ধারালো অস্ত্র চাপাতি, রামদা, ছোরা, চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং আসামিরা পালিয়ে যায়।

মারাত্মক আহত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় দানিয়াল ও শুভকে তাদের আত্মীয়-স্বজনরা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়) নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দানিয়ালকে মৃত ঘোষণা করে। শুভকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে। হত্যাকাণ্ডের এক দিন পর নিহতের মা মুক্তা বেগম ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত আল আমিন ওরফে দানিয়াল ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় দেলোয়ার মিয়ার ছেলে। আর আহত শুভ একই এলাকার শাহজালালের ছেলে। তাদের মধ্যে নিহত দানিয়াল অটোরিকশা গ্যারেজের ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত ছিল আর শুভ একটি কারখানার মেশিন অপারেটর।