নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

সোমবার,

২৯ এপ্রিল ২০২৪

ফতুল্লায় সাংবাদিক পরিচয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৩ প্রতারকের বিরুদ্ধে ২মামলা

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২৩:৫৫, ২২ নভেম্বর ২০২১

ফতুল্লায় সাংবাদিক পরিচয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৩ প্রতারকের বিরুদ্ধে ২মামলা

ফতুল্লায় সাংবাদিক পরিচয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৩ প্রতারকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা রুজু হয়েছে। মামলার অভিযুক্তরা হলো- গ্রেপ্তারকৃতরা হলো নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার কোতালের বাগ এলাকার আঃ কাইয়ুমের পুত্র আব্দুল কাদিও (৩৮), একই জেলার  রুপগঞ্জ থানার নুরুল্লাহর পুত্র আল-আমিন সোহাগ (২৭) ও সাইদুল ইসলামের পুত্র তাইমুল ইসলাম (২৭)।

 

ওই  ৩ প্রতারক রবিবার (২১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফতুল্লা থানার ইসদাইর রসুলবাগ এলাকায় একটি রপ্তানীমুখী পোষাক তৈরী কারখানার পরিচালকের বাসায় সাংবাদিক পরিচয়ে ৫ লাখ টাকা চাদাঁবাজি করলে স্থানীয়রা গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

 

এ  সময় পুলিশ তাদের নিকট থেকে ২০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট, সাপ্তাহিক দূর্নীতি রিপোর্ট নামক একটি পত্রিকার ৬টি আইডি কার্ড, একই পত্রিকার ২টি  সিল, ১০ টি খালি প্যাড উদ্ধার করে। পরে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। 


এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মাদক মামলা ও ফতুল্লার রামারবাগস্থ আজাদ-রিফাদ ফাইবার্স প্রাঃ লিমেটেডের প্রশাসনিক ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদি হয়ে চাদাঁবাজির অভিযোগ এনে ফতুল্লা থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। 


মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, রোববার রাতে গ্রেপ্তারকৃতরা ফতুল্লার রামারবাগস্থ আজাদ রিফাত ফাইবার্স প্রাঃ লিমিটেডের পরিচালক  তাজুল ইসলাম রাজিবের ইসদাইর রসুলবাগস্থ বাসায় গিয়ে নিজেদের কে সাপ্তাহিক দূৃর্নীতির রিপোর্টারের পরিচয় দিয়ে জানায় যে, তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশনে দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। 


যদি তাদেরকে ৫ লাখ টাকা দিলে দূর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত করে দিবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশন জেল জরিমানাসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে।

 

তাদের কথা বার্তায় সন্দেহ হলে ফতুল্লা থানা পুলিশ কে সংবাদ দেওয়া হয়। বিষয়টি আচঁ করতে পেরে গ্রেপ্তারকৃতরা পালিয়ে যাবার চেস্টা করলে স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে মারধর করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।


স্থানীয়রা জানান, আমাদের এলাকার প্রতিটি প্রবেশ মুখে আছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এলাকা থেকে মাদক, ছিনতাইকারী দূর করতেই সমাজের মুরব্বীরা এর ব্যবস্থা করেছেন। এলাকায় অপরিচিতদের প্রবেশ দেখলেই তাকে প্রশ্ন করেন আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি গার্ডরা। 


রবিবার সন্ধ্যায় এই তিন যুবককে দেখে প্রথমে সন্দেহ হলে প্রথমে তাদের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। নিজেদের জাতীয় পত্রিকা দৈনিক মানব জমিনের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে পরিচয় দেয়। তখন সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। 


এরপর তাদের পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে প্রথমে অস্বীকার করে। পরে এলাকার মুরব্বীদের চাপে দেখাতে বাধ্য হয়। কিন্তু তারা মানবজমিন পত্রিকার পরিচয় পত্র দেখাতে পারেনি। দুর্নীতি রিপোর্ট নামে একটি পত্রিকার পাঁচটি পরিচয় পত্র উদ্ধার করা হয় তাদের কাছ থেকে। 


এরমধ্যে একটি মানবাধিকার সংগঠনের পরিচয় পত্রও ছিল। এদের মধ্যে আঃ কাদির ওই পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে নিজেকে দাবী করেন। আর আলামিন বার্তা সম্পাদক ও তাইমুল যুগ্ন-বার্তা সস্পাদক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। 


আটককৃত আঃ কাদির বলেন, আমাদের সম্পাদক ইরান মজুমদার আমাদের এ এলাকায় আসতে বলেছিলেন। কিন্তু এখন তিনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন না। 


ইয়াবা উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সমাজে চলতে গেলে মাঝে মধ্যে নেশা করতে হয়। আমি সব সময় নেশা করি না। মাঝে মধ্যে নেশা করি।


পত্রিকার খালি প্যাড ও সীল নিয়ে ঘুরার কারন সম্পর্কে তিনি বলেন, এগুলো এমনিতেই রেখেছি।


ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, সাংবাদিক পরিচয় বহন করে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে চাঁদাবাজীকালে তাদের কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পুলিশ গ্রেপ্তাতারকৃতদের নিকট থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট, আইডি কার্ড,পেড উদ্ধার করে। 


এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদক মামলা ও আজাদ-রিফাদ ফাইবার্স প্রাঃ লিমেটেডের প্রশাসনিক ম্যানেজার বাদী হয়ে পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।