মেয়ের জামাইয়ের বাড়ির কেয়ারটেকারের দায়েরকৃত মামলায় সাবেক ইউপি সদস্যের পুত্র শ্বশুড় কে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।তথ্য মতে মেয়ের স্বামীর মালিকানাধীন বাড়ী আত্মসাৎ করতে না পেরে বাড়ির কেয়ারটেকার আব্দুর রাজ্জাককে মারধরের মামলায় শ্বশুর মনির হোসেন গ্রেফতার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার(১৩ জানুয়ারী) দুপুরে শিবু মার্কেট এলাকায় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ফতুল্লা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মনির হোসেন সাবেক কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নবু হোসেনের ছেলে। এ মামলায় শ্বশুর গ্রেফতার হলেও পলাতক রয়েছে স্ত্রী শামীমা পারভিন শিমু, শাশুড়ি শাহানাজ বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায় ও আবুল খায়ের রনির পূর্ব শিহাচর লালখা এলাকায় ষষ্ঠ তলা বিল্ডিংয়ে কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত রয়েছে। বাড়ির মালিক আবুল খায়ের রনির সাথে তার স্ত্রীর কিছুদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছে। গত ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে বাড়ির ভাড়া উত্তোলন করতে গেলে মনির হোসেন ও তার স্ত্রী তাকে বাধা প্রদান করে।
পরবর্তীতে পুনরায় ভাড়া আদায় করতে গেলে তাকে টেনে হিঁচড়ে চতুর্থ তলায় নিয়ে গিয়ে গালাগালি সহ মারধর করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদেরকে বাধা দিলে মাথায় সজোড়ে আঘাত করে। এতে লুটিয়ে পড়লে শামীমা পারভীন শিমু চাকু দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দেয়।
এ সময় ডাক চিৎকারে আশে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা বাদীকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শামীম জানান, মারামারি মামলায় মনির গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।