বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য ড. মো. আখতারুজ্জামান তালুকদার বলেন, প্রতিযোগিতা আইন মুক্তবাজার অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতা আইন ২০১২ প্রণয়ন করেছে এবং প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করেছেন।
আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে সিন্ডিকেট ও কার্টেল কার্যক্রম বন্ধ হবে, ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা পাবে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। এতে উদ্যোক্তারা নতুন চিন্তা ও উদ্ভাবনে উৎসাহিত হবেন, কর্মসংস্থান বাড়বে এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে “প্রতিযোগিতা আইন- ২০১২ এবং বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যাবলী বিষয়ক অবহিতকরণ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামগ্রিক উন্নয়নে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। সবাই চান, ব্যবসায় সুষ্ঠু প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় থাকুক।
তবে নতুন আইন যেন ব্যবসার বিকাশে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিযোগিতা কমিশন আইন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে সিন্ডিকেট ও কার্টেল কার্যক্রম বন্ধ হবে।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, আমরা শুনতে পাই মাছে, ফল,ও শাকসবজিতে শ্যাম্পু রং ও কেমিক্যাল ব্যবহার করে বাজারজাত করে থাকে। এর ক্ষতিকর দিকগুলি ভয়ানক এবং এটা আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এটা হয়তো তাদের জানা নেই।
শুধু বড় বড় সিন্ডিকেট ও বড় বড় ব্যবসায়ীরাই নয় যার যেখানে সুযোগ আছে সেখানেই সেই সুযোগ কাজে লাগায়। আমরা চাই কারো মধ্যে কোন প্রকার সিন্ডিকেট থাকবে না সকল ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট মুক্ত চাই। আমাদের সকল ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনতে হবে।কারণ আমরা সকল ক্ষেত্রে আস্থার জায়গাটা তৈরি করতে পারছি না।
শিক্ষা ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এমনকি কোন জায়গায় পুরোপুরি আস্তার জায়গা তৈরি করতে পারছি না। মানুষ আস্থাহীন হয়ে পড়ছে। মানুষ বিশ্বাস করতে পারছে না সে যেটা চাচ্ছে তার সমাধানটা এখানে হবে।
তাই এই জায়গাটা তৈরি করা খুবই প্রয়োজন। তাই আমাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধ দিয়ে সবাই যার যার অবস্থান থেকে আস্থার জায়গাটা তৈরি করতে হবে। আমাদের সকল সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলতে হবে।
মতবিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজ নিলুফা ইয়াসমিন, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রানা, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তরের প্রতিনিধি, নারায়নগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, নারায়ণগঞ্জ ক্যাব, নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্ৰহন করেন।


































