নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজে আয়োজিত উদ্যোক্ত সম্মেলন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের তোপের মুখে অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি। পরে ছাত্রদলের কর্মীরা পুরো সম্মেলনটিই বন্ধ করে দেয়।
এদিন তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস এন্ড বিজনেসমেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (আইবিডব্লিউএফ) এর উদ্যোগে উদ্যোক্তা সম্মেলন ২০২৫ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ হাতেম অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
হাতেমের বক্তব্য শেষে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইবিডব্লিউএফ এর প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। বক্তব্য চলাকালে অনুষ্ঠানের হল রুমে এসে তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দরা হাতেমকে ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যা দিয়ে তাকে বের করে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিলও বের করেন ক্যাম্পাসে।
সরকারি তোলারাম কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মনির হোসেন জিয়ার নেতৃত্বে হাতেমের বিরুদ্ধে এ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আশিকুজ্জামান অনু, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইমাম হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষার্থী তুহিন আহমেদ, সজিব দাস, অলক কান্তি দাস প্রমুখ।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমকে ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর’ উল্লেখ করে স্লোগান দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর হাতেম অনুষ্ঠানস্থল থেকে উঠে চলে যান।
এদিকে মোহাম্মদ হাতেম এই ঘটনার জন্য লোকাল বা স্থানীয় স্বার্থান্বেষী কোনো মহলকে দায়ী করেন, যাদের স্বার্থ হাসিল হয়নি। তিনি বলেন, “ যে ছেলে করেছে সে আমার ব্যাপারে জানলে কোনোভাবেই করাতো না।’
এর আগে গত ৪ নভেম্বর শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা প্রশাসনের এক অনুষ্ঠানেও তোপের মুখে পড়েন মোহাম্মদ হাতেম। ওইদিন হাতেমকে ‘গণঅভ্যুত্থানের শত্রু’ উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন। তাকে অনুষ্ঠানে অতিথি করা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন এনসিপির এই নেতা।
ওই অনুষ্ঠানে আল আমিন বলেন, “এখানে মঞ্চে ছাত্রদের নানা পরামর্শ দিতে দেখলাম এমন একজন ব্যক্তিকে যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনার সভায় কীভাবে ছাত্রদের আন্দোলন দমন করতে হবে সেই অনুরোধ করেছিলেন। গণঅভ্যুত্থানের শত্রু এই ধরনের ব্যক্তি যারা ওসমান পরিবারের দালালি করেছেন তাদেরকে কেবল একটা পদের কারণে স্পেস দিতে পারি না।” এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শোয়াইব আহমাদ খান।


































