নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ-৪ : ধান আউট, খেঁজুর গাছ ইন

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২২:০৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ-৪ : ধান আউট, খেঁজুর গাছ ইন

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের লড়াই আপাতত থেমেছে। নির্বাচনী ঢামাডোল বাজার পর থেকে বিএনপির  মনোনয়ন পেতে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছেন জেলা ও থানা পর্যায়ের কয়েকজন শীর্ষ নেতা। তারা স্ব স্ব কর্মীদের আশায় রেখেছিলেন মনোনয়ন পাবেন বলে।

কর্মীরাও আশাবাদী ছিল তার নেতা মনোনয়ন পাবে। ভোটারদেরও মাঝেও নানা জল্পনা-কল্পনা ছিল কে পাচ্ছেন বিএনপির মনোনয়ন। কিন্তু সবাইকে নিরাস করে বিএনপি দলের কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে জোটের প্রার্থীকে এবারও আসনটি ছাড় দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জোটের প্রার্থী হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মনির হোসেন কাসেমীর নাম ঘোষণা করেছেন। ফলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি ধানের শীষে ভোট দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।

তাদের ভোট দিতে হবে খেঁজুর গাছ প্রতীকে। যাদিও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনির হোসেন কাসেমীকে তারা ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছিল। এবার নির্বাচন কমিশনের রুলস হচ্ছে কোন দলের প্রার্থী অন্যদলের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলেও তাকে তার নিজস্ব দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী না দেয়ায় হতাশ হয়েছেন বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থক। বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশায় শিল্পপতি শাহ আলম নির্বাচনী মাঠে একাধিক শোডাউন দিয়েছেন। করেছেন গণসংযোগ।

এছাড়াও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি শোডাউন, উঠান বৈঠক, পথসভা, গণসংযোগ সবই করেছেন। শেষ দিকে যুক্ত হয়েছিলেন এই আসনের সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।

শুরু থেকে মাঠে ছিলেন সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। তিনি তার কর্মীদের রীতিমত আশ্বস্থ করেছিলেন তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাশী সকল প্রার্থীই কাসেমীকে প্রার্থী ঘোষণার পর চরমভাবে হতাশ হয়েছেন।

এখন দেখার বিষয় তাদের মধ্যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন কি না। যদি মোহাম্মদ আলী, শাহ আলম ও গিয়াসউদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে যান তাহলে মনির হোসেন কাসেমী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বেন। এমন গুঞ্জনও চাউর আছে নির্বাচনী মাঠে। তবে শেষ পর্যন্ত কে কে লড়বেন ভোটের মাঠে। তার জন্য ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
 

সম্পর্কিত বিষয়: