বরেণ্য অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী সদ্য প্রয়াত। কিন্তু তার অসংখ্যক স্মৃতি রয়ে গেছে। রয়ে গেছে না বলা অনেক কথা। যা তার জীবনদশায় প্রকাশ হয়নি। আজ প্রকাশিত হলো-‘কবরীর না বলা কথা’ পর্ব-৪। “৫০ বছরেরও কী আমার পরীক্ষা শেষ হয়নি”?। লিখেছেন সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন রবিন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে ৫ বছর দায়িত্ব পালন শেষে সারাহ বেগম কবরী সিদ্ধান্ত নেন একটা আত্মজীবনী লিখবেন। এবং লিখেছেনও। যেখানে অনেক কিছুর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের একটি চিত্র উঠে এসেছে তার লিখনীতে। যাক সে কথা। কবরীর হাতে এখন পর্যাপ্ত সময়। নাটক ও ছবির স্ক্রিপ্ট লিখছেন। ধারাবাহিক নাটক বানাচ্ছেন। রূপালী পর্দার কিংবন্তি এই অভিনেত্রী ছবি পরিচালনার উদ্যোগ নেন। ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবি পরিচলানার জন্য সরকারী অনুদানের জন্য আবেদন করেন তিনি।
কবরী বলেন, আমি যখন অনুদান চাই, তখন মন্ত্রী বলে এটা আমার হাতে নাই। তাহলে কার হাতে আছে? আমি যখন ওই সেক্টরের দায়িত্বে ছিলাম তখন তো জানি কার হাতে আছে আর কার হাতে নাই। আমি কী টাকাটা নিজের কাজের জন্য নিচ্ছি? দেশের জন্য ছবি বানাচ্ছি। ওই টাকা দিয়ে তো কিছুই হবে না। এটা সম্মান। রাষ্ট্র থেকে আমাকে অনুদান দিয়েছে একটা কাজ করার জন্য। তাও ৩৫ লাখ টাকা। দুইবার আমি আবেদন করেছি। আমাকে নানা ভাবে অসহযোগিতা করা হচ্ছে। যাতে আমি দেশ থেকে কোন সহযোগিতা না পাই সে চেস্টা করা হচ্ছে। আমার মত একটা মানুষ সহযোগিতা পাচ্ছে না। আমাকে আরো পরীক্ষা দিতে হবে? আমি ভালো ছবি বানাতে পারি? ৫০ বছরেরও কী আমার পরীক্ষা শেষ হয়নি? আমার খুব কস্ট লেগেছে। কিন্তু আমি তো আমার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। এখন কী আমাকে টেনে নামাতে পারবে? আমার মত মানুষ ২৪ ঘন্টা হাত-পা নাচিয়ে কাজ করতে চাই। আজকে আমি কস্ট করে এখানে এসেছি। আমার যে কী ভালো লাগে। একটা পেন্ট পড়ে ঘুরে বেড়াতাম সেই মিনা পাল গ্রামের মেঠো প্রান্তে। আজ আমি কোথায় এসে পৌছেছি।
কবরী বলেন যখন চিন্তা করি আমার সময়গুলো যে কীভাবে কেটে গেছে। গান শুনি। বই পড়ি। ১৩ পর্বের একটা নাটক বানাচ্ছি। ‘আবার আসিব ফিরে’। খুব সুন্দর একটা গল্প। এসব নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় পার করছি। কারণ আমি ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই যেতে চাই। বিভিন্ন সেক্টরে আমি কাজ করেছি, এখনও করতে চাই। আমার জানার আগ্রহটা একটু বেশি। এখনও আমার মনে হয় আমি অনেক কিছুই শিখিনি। এখনও শিখতে চাই। আগামী পর্বে পড়ুন- “আমি দুই জায়গায়ই সার্থক”।
আরও পড়ুন :“এটা কোন বাহাদুরী করার কিছু না”