মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরেও সব বীর শহীদদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটা মন্ত্রণালয় থাকার পরও এ কাজটি তারা করতে পারেননি। এ দায়বোধ থেকে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, নারায়ণগঞ্জ জেলা এ জেলার শহীদদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করে।
ইতি মধ্যেই দুই শতাধিক শহীদদের নাম সংগ্রহ করা হয়। এসব সংগ্রহকৃত শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও তাঁদের পরিবার স্বজনদের নিয়ে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, নারায়ণগঞ্জ জেলা। শক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হরা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশলক্ষ শহীদ জীবন দিয়েছেন। আজ সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে হাজার হাজার বধ্যভূমি আর গণকবর। যাদের রক্তবীজে আমাদের এই দেশ- আজ মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরেও সেসব বীর শহীদদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা যায়নি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটা মন্ত্রণালয় থাকার পরও এ কাজটি তারা করেনি।
আমরা বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, নারায়ণগঞ্জ জেলা সে দায়বোধ থেকেই আমাদের জেলার শহীদদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি। এখনও পর্যন্ত যেসব শহীদদের নাম সরকারি বা বেসরকারি কোন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় নাই, সেসব শহীদদের তালিকা তৈরিই আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা এ পর্যন্ত এমনি দুই শতাধিক শহীদদের নাম সংগ্রহ করেছি।
সংগ্রহ করেছি তাঁদের অনেকের আলোকচিত্র, ব্যবহৃত দ্রব্য, মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের আত্মদানের গৌরবগাঁথা। যা একটি চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে অব্যাহত থাকবে। আমরা আশা করি সারাদেশে এমনি উদ্যোগ নিলে এক সময় আমরা শহীদদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরিতে সক্ষম হবো।
ইতিমধ্যে সংগৃহীত শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও তাঁদের পরিবার স্বজনদের নিয়ে আমাদের অনুষ্ঠান ২৫ ডিসেম্বর শনিবার বিকেল ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ দেওভোগস্থ শেখ রাসেল পার্কে অনুষ্ঠিত হবে।
ঐদিন আমরা সংবর্ধনা জানাবো মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্র ও বিভিন্ন প্রান্তে গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও জনতাকে উজ্জীবিত করা বিপ্লবী পরিবারের শিল্পী মঞ্জুশ্রী দাশগুপ্তাকে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, লেখক, গবেষক মফিদুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি ও উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন। পরে সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যানুষ্ঠান।