নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

০৩ মে ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে কাউন্সিলর রুহুলের বিরুদ্ধে মামলা  

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৪:৫৬, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

সিদ্ধিরগঞ্জে কাউন্সিলর রুহুলের বিরুদ্ধে মামলা  

সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লার বিরুদ্ধে শাহাবুদ্দিন হাওলাদার নামে এক ব্যবসায়ী আদালতের মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগ রয়েছে গোদনাইল এনায়েতনগর বৌ বাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একটি জমি কাউন্সিলরের বাধার কারনে একাধিকবার চেষ্টা করেও দখলে নিতে না পেরে শাহাবুদ্দিন এ মামলা করেন। 


মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) মো. রুহুল আমিন মোল্লাকে প্রধান করে শাহাবুদ্দিন হাওলাদার বাদি হয়ে একটি পি (নং ৩০৫/২২) দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখিত অন্য অভিযুক্তরা হলেন- মো. স্বপন (৪৫), কাজী অহিদ আলম (৪০), মাহাবুব (৪৮), রিপন (৪০), বাবু (৩০), মো. মনির (৩৫), মো. মজিবর (৪৫), মো. মনির হোসেন (৩৫), মিজানুর রহমান রিপন (৩২), রুবেল (২৬), সজিব (৩০) সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন।


মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, গত ১৬ জুন আসামীরা তার মালিকানাধীন বিসমিল্লাহ টুস্টিং মিলে গিয়ে বাড়ি নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এর প্রেক্ষিতেই তিনি মামলাটি দায়ের করেন।


জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শাহাবুদ্দিন হাওলাদার মুক্তিযোদ্ধা পরিবার মুজিবর গং এর একটি জমি নানাভাবে দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ জমি দখলকে কেন্দ্র করে বসবাসকারীদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, মারধরসহ হুমকি-ধমকি দিয়ে নানাভাবে একাধিকবার পেশীশক্তি খাটিয়ে উচ্ছেদ চেষ্টা চালায় শাহাবুদ্দিন বাহিনী।  


এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং বসবাসীকারীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নাসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লাকে জানালে কাউন্সিলর তাদের পাশে দাড়ায়। এরপর থেকেই নানাভাবে কাউন্সিলরকে ম্যানেজ করার ব্যর্থ চেষ্টা চালায় শাহাবুদ্দিন। 


জমি দখলে নিতে শাহাবুদ্দিন রুহুল আমিন মোল্লাকে ঘুষ দেওয়ারও চেষ্টা করেন। এতেও ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে শাহাবুদ্দিন তার বাহিনী দ্বারা ওই জমিতে বসবাসকারী একটি নিরীহ পরিবারের বসতঘর ভাঙচুর করে তাদেরকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা চালায়। 


এ বিষয়ে কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, দুই পক্ষের দলিলপত্র অনুযায়ী জমির প্রকৃত মালিক মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম গং। উক্ত জমি জনৈক আব্দুর রব এর কাছ থেকে ক্রয় বাবদ মালিকানা দাবি করে শাহাবুদ্দিন হাওলাদার ঐ জমি দখলে নিতে গেলে বাধা প্রদান করি যাতে আইনশৃংখলার অবনতি না হয়। শাহাবুদ্দিনসহ উভয়পক্ষকে বলি আইনের আশ্রয় নিতে। 


তিনি আরো বলেন, আমার ৮ নং ওয়ার্ডে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, ভুমি দস্যুতা, চাঁদাবাজি চলবেনা। এরপর থেকে শাহাবুদ্দিন আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। আমরা মানহানী করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।


এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান মানিক জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখন কিছু বলা যাচ্ছেনা।