
ফতুল্লার পাগলা এলাকায় সরকারি জায়গা দখল করতে গিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়েছেন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ফাতেমা ১৫/২০ জন নারীকে সাথে নিয়ে লাঠিসোটা সহকারে পাগলা মেরি এন্ডারসন সংলগ্ন সরকারি জমি জোরপূর্বক দখল করতে যান৷ এসময় আশেপাশে থাকা জনসাধারণ ও শ্রমিকেরা তাকে ও তার লোকজনকে বাধা প্রদান করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।
একপর্যায়ে ফাতেমা ও তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা উপস্থিত লোকেরে উপর হামলা করে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে ভবিষ্যতে প্রাণনাশ ও বড় ক্ষতিসাধনের হুমকি প্রদান করে।
এতে সুমন (২৩) ও লিমন (২২) নামে দুইজন আহত হন। এই ঘটনায় পাগলার চিতাশালের বাসিন্দা রাকিব হাসান খান ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরকারি ওই জমি জোরপূর্বক দখলে নিতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফাতেমা মনির। কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র না থাকা সত্বেও তিনি প্রভাব খাটিয়ে জমিতে বালু ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণের পায়তারা চালাচ্ছেন৷ তার আগ্রাসী মনোভাবের কারণে এলাকাবাসী ভীতসন্ত্রস্ত থাকে।
আজ সকালে তিনি তার অনুগতদের নিয়ে এসে মারমুখী আচরণ করেন ও যেকোনো মূল্যে ওই জমি দখলের প্রচেষ্টা চালান৷ এতে এলাকাবাসী বাধা দিলে তিনি তার লোকজন নিয়ে হামলা চালান।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হাওলাদার বলেন, ‘ফাতেমা মনির আপা আজ এসেই আগ্রাসী আচরণ করেছেন৷ তিনি জনসাধারণের সাথেও বাজে ব্যবহার করেছেন৷ অথচ থানা থেকে বলা হয়েছে, বিবাদমান পক্ষগুলোকে ডেকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধান করা হবে৷
আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল৷ আশা করি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি আইনের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রাখবেন৷ আজ তিনি ও তার লোকেরা
যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন তা লজ্জাজনক৷ এর আগেও এ ফাতেমা মনির প্রয়াত সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরী ও সদর উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসসহ কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশের সঙ্গে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়েছিলেন।
২০২০ সালে ফতুল্লা থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের সাথে বাজে ব্যবহারের দায়ে তাৎক্ষণিকভাবে আটক হন তিনি। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় ছয় ঘণ্টা আটক থেকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।
লিখিত অভিযোগের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। অবশ্যই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’