
বন্দরে মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কের বেহাল অবস্থার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে বিভিন্ন স্কুল কলেজ পড়ুয়া স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে টানা ৮ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ। তীব্র ভোগান্তি ও প্রাণহানির আশঙ্কায় এ কর্মসূচির ডাক দেয় ছাত্র-জনতা।
তারা জানান, সড়কের বিশাল বিশাল গর্তে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে—উল্টে যাচ্ছে ট্রাক, বাস ও প্রাইভেটকার, অনেক সময় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। বারবার অভিযোগ জানালেও প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে মিলছে না কার্যকর কোনো ব্যবস্থা।
ছাত্র-জনতার পক্ষে আন্দোলনকারীরা যে দুই দফা দাবি উত্থাপন করেছে তা হলো- সড়ক ও জনপথ নারায়ণগঞ্জ অফিসের পরিচালকের পদত্যাগ ও পুরো সড়ক সংস্কার করে যান চলাচলের জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
সকাল ৯টা থেকেই বিক্ষুব্ধ জনতা সড়কের বিভিন্ন অংশে অবস্থান নেন। যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে শত শত যাত্রী আটকা পড়েন এবং ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
দুপুরের পর বন্দর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও দলে দলে আন্দোলনে অংশ নেয়। স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা সড়ক এলাকা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই রুটে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। রাস্তার এই ভয়াবহ অবস্থায় প্রতিনিয়ত ঘটে দুর্ঘটনা। দ্রুত সংস্কার না হলে আরও প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
বিকেল ৫টায় রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল এবং বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে ছাত্র-জনতা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। অবরোধ প্রত্যাহারের পর ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তবে তারা জানিয়েছেন, আগামীকাল শনিবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে। দাবি পূরণ না হলে আবারও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।